Skip to content

Tripura: নজরে নির্বাচন, ভোটপ্রচারে ফের সোমবার ত্রিপুরায় অভিষেক!

আজকাল

আজকাল ওয়েবডেস্ক: সোমবার ভোট প্রচারে ফের ত্রিপুরায় যাচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জি, সূত্রের খবর তেমনটাই।

তিনি সভা করবেন বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী ধর্মীয় সংখ্যালঘু অধ্যুষিত বক্সনগরে। শেষ মুহূর্তের প্রচারে সেরাজ্যে পরপর সভা করছেন বিজেপির প্রথম সারির মুখেরা।  মোদি রাজ্য ছাড়তেই ফের হাজির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। রয়েছেন আরও একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সমেত নানা রাজ্যের বিজেপি নেতারা। প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী, বিজেপি-র জাতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা প্রমুখের ব্যাক টু ব্যাক আসা যাওয়া-কে ‘ডেলি প্যাসেঞ্জারি’ বলে রবিবার কটাক্ষ করলেন তৃণমূলের মুখপাত্র ও পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। আগরতলায় দলের রাজ্য দপ্তরে সাংবাদিকদের বলেন, ২০২১-এ বাংলায়ও ওঁদের প্রতিদিন ছুটে আসতে  দেখেছিলাম। প্রমাণিত যে, ত্রিপুরায়ও মানুষের মনোভাব দেখে মোদি-অমিত শাহরা উদ্বিগ্ন, আতঙ্কিত। মানুষ পরিবর্তন চাইছেন। নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে দলের রাজ্যসভা সাংসদ সুস্মিতা দেব জানান, শাসক দলের দুষ্কৃতীরা রাজ্যের নানা স্থানে তৃণমূলকে প্রচারে বাধা দিচ্ছে। সোনামুড়ায় অফিস ভেঙেছে, অনুমতি থাকার পরও বহু জায়গায় সভা করতে দিচ্ছে না।  কমিশন নীরব। কুণাল ঘোষ কমিশনের সমালোচনা করে বলেন, বাংলার মতো অ-বিজেপি শাসিত রাজ্যে ভোটের সময় নির্বাচন কমিশন খুবই কড়া। বিজেপি-শাসিত রাজ্যে শিথিল। এখানে মনে হচ্ছে নির্বাচন কমিশন যেন বিজেপি-র ঘাটতিগুলো পূরণের জন্যই কাজ করছে। কুণাল ঘোষ বলেন, মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লবকে বদল করার কারণ বলেননি প্রধানমন্ত্রীও। তার মানে বিজেপি-র সরকার ব্যর্থ এটা ওঁরাই মানছেন। আর চার বারের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার নির্বাচনে না দাঁড়িয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন, সিপিএম-কংগ্রেসের আঁতাতে কাজ হবে না। কুণাল ঘোষের কথায়,  ‘সেনাপতি সরে দাঁড়ালে কে যুদ্ধ করবে ‘! ত্রিপুরায় যে ২৮টি আসনে তৃণমূল লড়ছে সবগুলোতেই মমতা ব্যানার্জিকে ভোট দিয়ে জয়ী করতে বলেন কুণাল। বলেন, সিপিএম এবং কংগ্রেস বাংলায় বিজেপি-র সঙ্গে দোস্তি করে সমবায়েও তৃণমূলের বিরুদ্ধে  লড়ছে, আর ত্রিপুরায় বিজেপি-র বিরুদ্ধে নকল যুদ্ধের নাটক করছে। সিপিএম আর কংগ্রেসের আঁতাতকে তিনি অশুভ আঁতাত বলে বর্ণনা করেন। বাংলায় তারা শূন্য পেয়েছে, এখানেও সফল হবে না। তাঁর দাবি, বিজেপি-র বিকল্প একমাত্র তৃণমূল। বিজেপি-র ডবল ইঞ্জিন নয়, বাংলা ও ত্রিপুরায় তৃণমূল সরকারের ডবল ইঞ্জিন হলে মমতা ব্যানার্জি থাকবেন তার চালক। প্রতি মাসে একবার ত্রিপুরায় এসে জনগণের অভাব অভিযোগ শুনবেন। একজন ভূমিপুত্রের নেতৃত্বে তৃণমূলের  সরকার প্রথম ১৫ দিনের মধ্যেই বাংলার মতো ‘দুয়ারে সরকার’, লক্ষীর ভান্ডার, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, সবুজ সাথী, স্বাস্থ্যসাথী ইত্যাদি প্রকল্প চালু করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেবে বলে তৃণমূল মুখপাত্র আশ্বাস দেন।



বার্তা সূত্র