Skip to content

Rahul Gandhi At San Francisco Airport | ‘আম আদমি’ রাহুল আমেরিকার এয়ারপোর্টে দু’ঘণ্টা আটকে, গণতন্ত্রই এজেন্ডা, জানাল দল | May 2023

Image - ‘আম আদমি’ রাহুল আমেরিকার এয়ারপোর্টে দু’ঘণ্টা আটকে, গণতন্ত্রই এজেন্ডা, জানাল দল


দ্য ওয়াল ব্যুরো: মঙ্গলবার রওনা হয়ে বুধবার ভারতীয় সময় ভোর রাতে আমেরিকায় সানফ্রান্সিসকো বিমানবন্দরে পৌঁছেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi at San Francisco airport)। সাংসদ পদ চলে যাওয়ার পর এই প্রথম বিদেশ সফরে গেলেন তিনি। স্বভাবতই সাংসদ পদ খোয়ানোর বিড়ম্বনা বিমানবন্দরেই ভোগ করতে হয়েছে তাঁকে।

ওভারসিজ কংগ্রেসের সভাপতি শ্যাম পিত্রদা সহ প্রবাসী কংগ্রেস সমর্থকদের অনেকেই এসেছিলেন বিমানবন্দরে রাহুলকে স্বাগত জানাতে। (Rahul Gandhi at San Francisco airport)

কিন্তু ফুলের তোড়া হাতে তাঁদের প্রায় দু’ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয় বিমানবন্দরের বাইরে। কারণ, সাংসদ পদ হারানোর পাশাপাশি রাহুলের ডিপ্ল্যোম্যাটিক পাসপোর্টও হাতছাড়া হয়েছে (Rahul Gandhi passport)। পরশু হাতে পাওয়া অর্ডিনারি পাসপোর্ট নিয়ে আমেরিকা গিয়েছেন তিনি। তাই বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন এবং কাস্টমস চেকিংয়ে সাধারণ যাত্রীদের সঙ্গে তাঁকেও লাইন দিতে হয়। দু’ঘণ্টা লেগে যায় তাঁর পালা আসতে।

রাহুলকে দেখতে পেয়ে সেলফি তোলেন। কেউ কেউ প্রশ্ন করেন, আপনি কেন কষ্ট করে অর্ডিনারি প্যাসেঞ্জারদের সঙ্গে লাইনে দাঁড়িয়েছেন। জবাবে রাহুল বলেন, ‘আমি এখন আম আদমি। আমার সাংসদ পদ চলে গিয়েছে। হাতছাড়া হয়েছে ডিপ্লোম্যাটিক পাসপোর্টও।’

প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতির ১০ জুন পর্যন্ত আমেরিকায় থাকার কথা। এদিকে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও ২২ জুন রাষ্ট্রীয় সফরে আমেরিকায় যাবেন। স্বয়ং মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তাঁকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রীর সফরের দিন কুড়ি আগে সে দেশে রাহুলের সফর স্বভাবতই সব মহলেরই কৌতুহলের কারণ হয়েছে। দশ দিনের সফরে নিউইয়র্ক, ওয়াশিংটন, ক্যালিফোর্নিয়াতেও যাবেন। তাঁর সফর জুড়ে থাকছে একাধিক সভায় ভাষণ ও আলোচনায় অংশ নেওয়া।

সানফ্রান্সিসকো বিমানবন্দরে রাহুলের সঙ্গে সেলফি

সদ্যই কর্নাটকের বিধানসভার ভোটে জয়ের মুখ দেখেছে কংগ্রেস। যে ফলাফলে রাহুলের বিশেষ অবদান রয়েছে, মানে সব দল। অন্যদিকে, কর্নাটকের ফলকে ব্যক্তি মোদীর পরাজয় মনে করেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। দক্ষিণের ওই রাজ্যে বিজেপির প্রচার ছিল মোদীময়।

স্বভাবতই প্রবাসী ভারতীয়দের সামনে রাহুল নিজেকে অনেক আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে নিজেকে হাজির করবেন। এই সফরে তিনি কি করবেন, কী বলবেন, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে তীব্র কৌতুহল আছে। কারণ, মাস তিন আগে তাঁর ব্রিটেন সফরের বক্তব্য নিয়ে দেশে তীব্র আক্রমণের মুখে পড়তে হয়েছিল সরকার ও শাসকদলের। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নাম না করে কংগ্রেস নেতার লন্ডন ভাষণের সমালোচনা করেছিলেন। অক্সফোর্ডের ভাষণে রাহুল বলেছিলেন, ভারতে গণতন্ত্র বিপন্ন। এমনকী সংসদে পর্যন্ত বিরোধীদের বলতে দেওয়া হয় না। প্রসঙ্গত, তার আগে সংসদে আদনি কাণ্ডে সরকার বিরোধীদের দাবি মেনে আলোচনায় সম্মতি দেয়নি। এমনকী প্রধানমন্ত্রীকে জড়িয়ে বলা কথা সংসদের দুই কক্ষের কার্যবিবরণী থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়।

মার্কিন সফরে রাহুলের বড় কর্মসূচি আছে ৪ জুন। ওই দিন নিউইয়র্কে ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেন অডিটোরিয়ামে ভাষণ দেবেন প্রবাসী ভারতীয়দের সামনে। সেখানে পাঁচ হাজার লোককে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা।

২০১৪ তে মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর ওই বছর সেপ্টেম্বরে রাষ্ট্রপুঞ্জের সভায় যোগ দিতে গিয়ে ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনে প্রবাসী ভারতীয়দের সামনে ভাষণ দিয়ে তুমুল সাড়া পেয়েছিলেন। মনে করা হচ্ছে, আগামী বছর লোকসভা ভোটের আগে এবার দুই নেতাই চেষ্টা করবেন প্রবাসী ভারতীয়দের মনে দাগ কেটে দেশে ভোটে ফায়দা তুলতে।

ওভারসিজ কংগ্রেসের সভাপতি শ্যাম পিত্রদা জানিয়েছেন, মার্কিন সফরে রাহুলের কর্মসূচির বেশ কয়েকটি হল বিশ্ববিদ্যালয় সফর। সেখানে তিনি কথা পড়ুয়া ও শিক্ষকদের সঙ্গে মিলিত হবেন। প্রবাসী ভারতীয়রা তাঁর সম্মানে জমায়েতের আয়োজন করেছেন। সেখানে ভাষণ দেবেন তিনি। তাতে গণতন্ত্রের প্রসঙ্গ আসা স্বাভাহিক। স্বভাবতই রাহুল দলের বক্তব্য তুলে ধরবেন। তাছাড়া স্থানীয় আয়োজকেরা আলোচনার বিষয়বস্তু ঠিক করছেন।

মণিপুর নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী-সেনাধ্যক্ষ ভিন্ন মত, অমিতের বৈঠকে বিজেপি নেতা কেন, প্রশ্ন তৃণমূলের



বার্তা সূত্র