কলকাতা, 17 জুন: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীকে চাপে ফেলতে নয়া কৌশল তৃণমূলের ৷ 2021 সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে ভাঙড়ের আইএসএফ নেতার সঙ্গে এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর আপ্তসহায়কের হোয়্যাটসঅ্যাপ চ্যাটে প্রকাশ করল তৃণমূল ৷ শাসকদলের দাবি, বিজেপির সাহায্য নিয়েছেন নওশাদ ৷ সাম্প্রতিককালে ভাঙড়ের সংঘর্ষের ঘটনায় বারবার নওশাদের আক্রমণের মুখে পড়েছে তৃণমূল ৷ সেই পরিপ্রেক্ষিতে শাসক শিবিরের এই পালটা আক্রমণ রাজনৈতিক মহলের মতে বিশেষ তাৎপর্য ৷
এই চ্যাটটি সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেন তৃণমূলের যুবনেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য ৷ তিনি নওশাদের সঙ্গে বিজেপির যোগসাজশের অভিযোগ তুলে লেখেন, “নির্বাচনের আগে ভোট কাটতে বিজেপি এই ধরনের পার্টি তৈরি করে ৷ এখানে আইএসএফ নেতা নওশাদ সিদ্দিকীর সঙ্গে বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয় এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিত্যানন্দ রাইয়ের আপ্তসহায়কের হোয়্য়াটসঅ্যাপ চ্যাট রইল।”
আরও পড়ুন: ভাঙড়ে তৃণমূলের কেউ নিহত হয়ে থাকলে পরিচয় সামনে হোক, মুখ্যমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ নওশাদের
তাঁর দাবি, এই চ্যাটটি গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে হয়েছিল ৷ দেবাংশুর করা পোস্টটি নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তিনি এই চ্যাট নিয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন ৷ অভিষেকের পাশাপাশি দেবাংশুর পোস্ট শেয়ার করেছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষও ৷
-
তাহলে কি নৌশাদ সিদ্দিকির মাধ্যমেই বিজেপির সঙ্গে গোপন সেতুবন্ধন রাখত সিপিএম? নৌশাদ আর বিজেপি নেতাদের গোপন হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট সত্যি হলে এই প্রশ্নটাও ওঠা স্বাভাবিক। 2021এ বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সময়ে এই বিশ্বাসঘাতকতা কারা করেছিল? স্ক্রিনশট ঘুরছে সোশ্যাল মিডিয়াতে। ব্যাখ্যা?
— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) June 16, 2023
রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবি, রাজ্যের ভোটে তৃণমূলের জন্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায় গুরুত্বপূর্ণ ৷ সাগরদিঘি উপনির্বাচনে বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন বিশ্বাসের জয় চিন্তায় ফেলেছিল তৃণমূলকে ৷ পরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসংযোগ যাত্রায় কংগ্রেসের এই একমাত্র বিধায়ক বাইরন তৃণমূলে যোগ দেন ৷ পঞ্চায়েত ভোটের দিন ঘোষণার আগে থেকেই শাসকদলের নিশানায় ছিল আইএসএফ নেতা নওশাল সিদ্দিকী ৷
আরও পড়ুন: ‘লড়াই চলবে’, জেলমুক্তির পর ঘোষণা নওশাদের
এবছরের জানুয়ারির শেষে ধর্মতলায় আইএসএফ-এর বিক্ষোভ মঞ্চকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বাধে ৷ রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে ধর্মতলা চত্বর ৷ গ্রেফতার হন নওশাদ ও অন্য় আইএসএফ কর্মীরা ৷ তাঁর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করেছিল রাজ্য সরকার ৷ তাঁর কারাবাস নিয়ে বাম-কংগ্রেস প্রতিবাদ করে, মিছিল করে ৷ 42 দিন কারাবাসের পর 2 মার্চ মুক্তি পান তিনি ৷ আবারও শাসকদলের তোপের মুখে তরুণ আইএসএফ নেতা ৷