Skip to content

Narendra Modi Addresses Countrymen As Family

Image - দেশবাসীরা আর 'মিত্রোঁ' নয়, 'পরিবারজন' বলে কেন সম্বোধন মোদীর, কী কৌশল তাঁর


দ্য ওয়াল ব্যুরো: বুধবার কন্যাশ্রীর মঞ্চে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বরচিত কবিতা পাঠ করেছিলেন। সেই কবিতার নাম ‘মাটির ঘর’। মমতার পাঠ করা ওই কবিতার প্রথম লাইন ছিল—‘আবার যখন দেখা হবে…তখন কী আর আমি-আমি হব, জানিনা আসব কোন সাজে!’

অর্থাৎ পরের বার মমতা কোন অবতারে, কোন সাজে আসবেন তা তাঁর অজানা। কিন্তু নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) তেমন নয়। তাঁর পুরো ব্যাপারটাই যেন গুছোনো ও সুপরিকল্পিত। গত দশ বছর ধরে স্বাধীনতা দিবসের (independence day india) বক্তৃতায় লালকেল্লায় মোদীর পাগড়ি রঙ ও তা পরার কেতা দেখলেই বোঝা যায়, প্রতিবারই বদলে বদলে গেছে। নতুন নতুন সাজে এসেছেন নরেন্দ্র মোদী।

মোদীর বহুবর্ণের পাগড়িতে রাজস্থানি বাঁধনির কাজ, লালকেল্লার ভাষণে নজর কাড়ল আবারও

তবে শুধু সাজ নয়, এবার লালকেল্লায় মোদীর বক্তৃতায় আরও একটি বড় বদল কানে বেজেছে অনেকেরই। তা হল, দেশবাসীকে (countrymen) এদিন আর মিত্রোঁ বলে সম্মোধন করেননি মোদী। তিনি বলেছেন, ‘পরিবারজন’ (Family)। বক্তৃতার গোড়া থেকে শেষ পর্যন্ত ছত্রে ছত্রে দেশের মানুষকে ‘পরিবারজন’ বলে সম্বোধন করে গিয়েছেন তিনি।

কৌতূহল হতেই পারে কেন এই বদল (Narendra Modi)?

মোদী নিজে অবশ্য তার ব্যাখ্যা দেননি। তবে পর্যবেক্ষকদের মতে, কৌশলী প্রধানমন্ত্রী তা ষোলো আনা বোঝানোর চেষ্টাও কম করেননি এদিন। কেন্দ্রে ৯ বছর একটানা ক্ষমতায় থাকার পর মোদীর বিরুদ্ধে ২৬টি দলের জোট তৈরি হয়েছে। এই জোটের নাম না করে এদিনও পরিবারতন্ত্র নিয়ে তাঁদের বিঁধতে চেষ্টা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। মোদী বলেছেন,“দেশের রাজনীতিতে এখন অদ্ভুত বিকৃতি এসেছে। পরিবারতন্ত্র সবকিছু গ্রাস করে নিতে চাইছে। এঁরা নিজেদের পরিবার ছাড়া আর কিছু বোঝে না। এঁরা মানুষের সুযোগ-সুবিধাকে কেড়ে নিতে চায়। এই পরিবারবাদ থেকে রাজনীতিকে মুক্ত করতেই হবে।”

এ কথা বলার পরই দেশবাসীকে ফের ‘পরিবারজন’ সম্মোধন করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “আপনারা আমার পরিবার। আমি আপনাদের জন্য বাঁচি। আমার যদি স্বপ্ন আসে তাহলে সেই স্বপ্ন আসে শুধু আপনাদের জন্য। আমার যদি ঘাম হয়, তাহলে শুধু আপনাদের জন্য হয়। আমি আপনাদের পরিবারের সদস্য বলেই আপনাদের সব সমস্যা, দুঃখ, কষ্টকে আমার কষ্ট বলে মনে করি। আপনাদের জন্য লড়াইয়ের জন্য আমি সঙ্কল্পবদ্ধ।”

গান্ধী পরিবারের নেতৃত্বে থাকা কংগ্রেস, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল, লালু প্রসাদের আরজেডি, এম কে স্ট্যালিনের ডিএমকে, শরদ পাওয়ারের এনসিপি, অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টিকে ইদানীং বার বার পরিবারতন্ত্র নিয়ে খোঁচা দিয়েছেন মোদী ও বিজেপি নেতারা।

অনেকের মতে, লোকসভা ভোটের আগে ইন্ডিয়া জোটের এই শরিকদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী এদিন তাঁর ফারাক বোঝাতে চাইলেন। আগেও এই কথাটা তিনি বোঝাতে চাইতেন। বারবার বলতেন, ‘আমার কী আছে! ঝোলা উঠিয়ে একদিন চলে যাব’। আর এদিন বোঝাতে চাইলেন তাঁর আর কোনও পরিবার নেই। দেশবাসীরাই তাঁর পরিবার।

আরও পড়ুন: মুদ্রাস্ফীতির হার ৭.৪৪ শতাংশ, মোদী বললেন, ‘দুর্ভাগ্য যে মূল্যবৃদ্ধিও আমদানি করতে হচ্ছে’



সংবাদ সূত্র