Skip to content

Ajit Goes To Sharad Pawars House | মহারাষ্ট্রে ফের নাটক, শরদের কাছে সদলবলে অজিত, কী কথা হল কাকা-ভাইপোর | Critical News Story | July 2023

Image - মহারাষ্ট্রে ফের নাটক, শরদের কাছে সদলবলে অজিত, কী কথা হল কাকা-ভাইপোর


দ্য ওয়াল ব্যুরো: শুক্রবার বিকেলের পর রবিবারের দুপুর। রাজনৈতিক ছাড়াছাড়ির পর একদিনের ব্যবধানে দু’বার দেখা হল সিনিয়র ও জুনিয়ার পাওয়ারের। শুক্রবার বিকেলে অজিত (Ajit Pawar) কাকা শরদের বাড়িতে গিয়েছিলেন কাকিমাকে দেখতে। শরদ পত্নী অসুস্থ প্রতিভা সেদিনই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে বাড়ি ফেরেন। অজিতের সঙ্গে সেদিন কাকা শরদ এবং খুড়তুতো বোন সুপ্রিয়ার দেখা হয়। ২ জুলাই অজিত আচমকাই আট বিধায়ককে নিয়ে মহারাষ্ট্রের বিজেপি-শিবসেনা সরকারে যোগ দেওয়ার পর তাঁদের মধ্যে কথা এবং মুখ দেখাদেখি বন্ধ ছিল।

রবিবার আর একা নন, অজিত একপ্রকার সদলবলে সিনিয়র পাওয়ারের (Ajit goes to Sharad pawars house) দুয়ারে হাজির হলেন।

শরদ দুপুরে গিয়েছিলেন ওয়াইবি চবন সেন্টারে দলের আঞ্চলিক শাখার বৈঠকে। সেখানেই গিয়ে হাজির হন অজিত, প্রফুল প্যাটেল, ছগন ভুজবলের মতো বিদ্রোহী নেতারা।

দীর্ঘ সময় শরদ পাওয়ারের সঙ্গে কথা হয় তাঁদের। ছিলেন শরদ শিবিরের নেতা এনসিপির রাজ্য সভাপতি জয়ন্ত পাতিলও। অজিত, প্রফুল, ছগনদের দল থেকে বহিষ্কার করেছেন শরদ। অন্যদিকে, অজিত পাওয়ার নিজেকে এনসিপির সুপ্রিমো ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশনের কাছে গিয়েছেন।

কিন্তু রবিবার অজিত শিবির সিনিয়র পাওয়ারকে অনুরোধ করেন, দল না ভাঙতে। অর্থাৎ বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে চাপ দেন। বৈঠক শেষে রাজ্যসভার সাংসদ প্রফুল প্যাটেল স্বীকার করেন, তাঁরা শরদ পাওয়ারকে অনুরোধ করেছেন, দল অটুট রাখার চেষ্টা করতে। প্রফুল জানান, সিনিয়র পাওয়ার তাঁদের কথা মনযোগ দিয়ে শুনেছেন। কোনও কথা বলেননি।

আসলে মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মধ্যে দু রকম মতই আছে শরদের অবস্থান নিয়ে। কারও কারও মত, শরদ ও অজিতের বিরোধ পারিবারিক। তাই ধীরে ধীরে সব মিটিয়ে নেওয়া হবে। আর এক শিবিরের মতে, সব কিছু চিত্রনাট্য মেনেই চলছে। স্বয়ং শরদ পাওয়ারই ভাইপোকে বিজেপির দিকে ঠেলে দিয়েছেন। আর এটা তিনি করেছেন কংগ্রেসের নেতৃত্বে বিরোধীরা জোটবদ্ধ হওয়া শুরু করতেই। যদিও কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলগুলি মহারাষ্ট্রের ঘটনাবলীকে এখনও এনসিপির ঘরোয়া বিবাদই বলছে। পাওয়ার তাঁর অনুগামীদের নিয়ে বিরোধী শিবিরের সঙ্গেই আছেন, মনে করে কংগ্রেস। সোমবার বেঙ্গালুরুতেও পাওয়ার বিরোধী বৈঠকে অংশ নেবেন বলে ঠিক আছে।

কিন্তু কেন অজিত শিবিরের মুখে ঐক্যের আহ্বান? আসলে মহারাষ্ট্রে জোর জল্পনা চলছে, দলত্যাগ বিরোধী আইনে শিবসেনার মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে ও তাঁর ১৫ বিধায়কের বিধানসভার সদস্য পদ খারিজ হয়ে যেতে পারে। সুপ্রিম কোর্ট গত শুক্রবার মহারাষ্ট্র বিধানসভার স্পিকারকে নির্দেশ দিয়েছে দলত্যাগ বিরোধী আইনে যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার দ্রুত নিতে। বিষয়টি ফেলে রাখা যাবে না। মনে করা হচ্ছে, অজিত শিবির তাই চিন্তায় আছে তাঁদেরও একই পরিণতি হলে মন্ত্রিসভায় থাকা অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। ইতিমধ্য শরদ শিবির অজিতদের সদস্যপদ খারিজ করার দাবি জানিয়ে চিঠি দিয়েছে স্পিকারকে।

অর্ডিন্যান্স নিয়ে ইতিবাচক কংগ্রেস, বেঙ্গালুরুর বৈঠকে যোগ দিচ্ছে আপ



বার্তা সূত্র