Skip to content

লাকসামে বিনা ভোটে কীভাবে পার, জানালেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

লাকসামে বিনা ভোটে কীভাবে পার, জানালেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

বিডিনিউজ:

তার ভাষ্য, যোগ্য প্রার্থীদের দল মনোনয়ন
দেওয়ার পাশাপাশি বিএনপি নির্বাচনে
না থাকায় লাকসামের ইউনিয়নগুলোতে সবাই বিনা ভোটে পার হয়ে গেছে।

রোববার ঢাকার কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন
মিলনায়তনে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে
এক অনুষ্ঠানে মন্ত্রী তাজুল বলেন, “কেউ কেউ মনে করে কী করে সকল মেম্বার
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পাস হয়ে গেল?…এখন কেউ কেউ যখন প্রশ্ন
করছে, তখন আমি বললাম- এটা নিয়ে
তদন্ত করতে পারেন। এখানে
কাউকে প্রেসার দেওয়া হয়নি।”

১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত দ্বিতীয়
ধাপের নির্বাচনে ৮৪৬টি ইউপির
মধ্যে ৩১টিতে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী
লীগের প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়। এর
মধ্যে লাকসামে কান্দিরপাড়, গোবিন্দপুর, উত্তরদা, আজগরা ও লাকসাম
পূর্ব ইউনিয়ন রয়েছে।

লাকসামে আওয়ামী
লীগ মনোনীত চেয়ারম্যানের সঙ্গে সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত সদস্য পদেরও ৬৫ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়।

এর সমালোচনা করে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব
তালুকদার বলেছিলেন, “নির্বাচন
না করেই চেয়ারম্যান পদে অভিষিক্ত
হওয়া এই নির্বাচনকে ম্লান
করে দিয়েছে। …নির্বাচন
যেহেতু অনেকের মধ্যে বাছাই, সেহেতু
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পদে আসীন
হওয়াকে নির্বাচিত হওয়া বলা যায় কি?”

নির্বাচন ‘আইসিইউতে’, গণতন্ত্র ‘লাইফ সাপোর্টে’: মাহবুব তালুকদার

লাকসামে যেভাবে হল

লাকসামে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের প্রসঙ্গ
টেনে তাজুল বলেন, “আমার
উপজেলাতে মনোনয়ন দিয়েছিলাম, সেখানে দেখা
গেছে… বিএনপি যেহেতু নির্বাচন করে না, আর অন্য
কেউও
করেনি। আমার দল থেকে
মেম্বারের নমিনেশন দিয়েছি, চেয়ারম্যানেরও নমিনেশনও
সেন্ট্রাল থেকে দিয়েছে।”

তিনি বলেন, “এখানে
একটি জিনিস হয়েছে বলে মনে হয়, মানুষ
মনে করে যে, উনার (মন্ত্রী) প্রার্থী হলে একটা
সমর্থন পাবে। আর মানুষ
আমাকে (প্রার্থী) অনেক বেশি বিশ্বাস করে।”

এসব ইউপির নির্বাচনে প্রথম
দিকে দুই-একজন করে প্রার্থী
হওয়ার আগ্রহ থাকলেও পরে কোনো
‘চাপ’ ছাড়াই প্রার্থীরা
প্রত্যাহার করে নেয় বলে দাবি
করেন তাজুল।

“কেউ কেউ মনে করে কী করে সকল মেম্বার
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পাস হয়ে গেল? তো আমি জানলাম
দুই/একজনের
প্রথম দিকে উৎসাহ ছিল, শেষের
দিকে কেউ করেনি যেহেতু, তারাও
করেনি। এটা তো ‘এ সোর্স
অব দ্যা ফেইলর’, এই ‘ফেইলরের’ জন্য আমার
দায়-দায়িত্ব
কী আছে? এখন কেউ কেউ যখন প্রশ্ন
করছে, তখন আমি বললাম, এটা নিয়ে
তদন্ত করতে পারেন, এখানে কাউকে
প্রেসার দেওয়া হয়নি।”

কুমিল্লা-৯ (লাকসাম-মনোহরগঞ্জ) আসনে ১৯৯৬ সাল থেকে চার বার সংসদ সদস্য হয়েছেন
তাজুল ইসলাম। তবে এবারই প্রথম মন্ত্রীর দায়িত্ব পান তিনি।

স্থানীয় রাজনীতিতে পেশি শক্তি ব্যবহার
করেন না বলে দাবি করেন তিনি।

“আমার
লাকসাম উপজেলাতে…. আমি কিন্তু
রাজনীতিটা নিবিড়ভাবে করি, এবং জনগণকে
ফান্ডামেন্টাল হিসেবে বিবেচনা করে করি। আমি গুণ্ডার ওপর রাজনীতি
করি না। সাহসী, শিক্ষিত
ও জ্ঞানী মানুষ চাই। পেশি
শক্তি মাধ্যম দিয়ে কোনো
কিছু বাস্তবায়ন করা, আমি এটা বিশ্বাস
করি না। এটা সত্য
থেকে বলছি, বাস্তবতা এটা।”

আগামী ৩১ জানুয়ারি ভোটের
দিন রেখে ইতোমধ্যে ষষ্ঠ
ধাপের ইউপি নির্বাচনের তফসিল
ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। এ ধাপে ২১৯টি ইউপির মধ্যে
তাজুল ইসলামের নির্বাচনী এলাকা
মনোহরগঞ্জ উপজেলার ১১টি ইউপিতেও
ভোট হবে।

এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, “আমার
আরেকটি উপজেলা আছে, আমি চেয়েছিলাম
সেখানে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হোক। কারণ, দেখা গেল যে হল না, এটাও
একটি চ্যালেঞ্জ। আরেকটা
উপজেলা নিয়ে আজকে কথা বলবো, কী করা যায়। মনোনয়ন তো আমাকে
দিতে হবে।

“দিতে
হবে,
কারণ সরাসরি বলে ফেলি, মনোনয়ন
না দিলে হচ্ছে কী, আমাদের পলিটিকস
এমন জায়গায় গেছে যে, আমাদের
দলের এবং সমাজের ক্ষতিকর
লোকটা, তাকে বিরোধীরা টাকা-পয়সা দিয়ে
এমনি-সেমনি পাস করাবে। তো আমি যখন নমিনেশন
দেব,
তখন যদি তাদের দল থেকে
আসে তখন ফেয়ার কমপিটেশন
হত।” প্রার্থী বাচাই
করা আমার জন্য কষ্টকর
ও আমার লেভেল থেকে করা কঠিন
হলেও করি,” বলেন তাজুল।