বিতর্কিত চিত্রনায়িকা পরীমনিসহ চারজনের বিরুদ্ধে বনানী থানার দুই মাদক মামলার তদন্তভার দেওয়া হয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশকে। বনানী থানার ওসি নূরে আযম মিয়া আজ শুক্রবার (৬ আগস্ট) সকালে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। গত বুধবার রাতে ঢাকার বনানীতে পরিমনির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে এই অভিনেত্রী এবং তার সহযোগী আশরাফুল ইসলাম দীপুকে আটক করে নিয়ে যায় .ব্যাব।
তিনি বলেন, “বৃহস্পতিবার র্যাব যে তিনটি মামলা করেছে, তার মধ্যে পর্নগ্রাফি আইনে করা মামলা ছাড়া দুটি মামলার তদন্তভার গোয়েন্দা পুলিশ পেয়েছে।”
আটক চিত্রনায়িকা পরীমনিকে বৃহস্পতিবার .ব্যাব সদরদপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে আনা হয়। এরপর অভিযান চলে বনানীতে চলচ্চিত্র প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজের বাড়িতে। সেখান থেকে রাজ এবং তার ব্যবস্থাপক সবুজ আলীকে র্যাব আটক করে নিয়ে যায়। প্রায় ২৪ ঘণ্টা পর বৃহস্পতিবার বিকালে উত্তরায় র্যাব সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে আসেন বাহিনীর মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
তিনি বলেন, পরীমনি ও রাজের বাড়িতে ‘মদ ও মাদকদ্রব্য’ পেয়েছেন তারা। পরীমনির একটি মদের লাইসেন্স পাওয়া গেলেও তার মেয়াদ ছিল না। এছাড়া রাজকে গ্রেপ্তারের সময় কম্পিউটারে ‘পর্ণ কনটেন্ট’ পাওয়া গেছে। এরপর গ্রেপ্তার চারজনকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়, বনানী থানায় দায়ের করা হয় মাদক আইনে দুটি এবং পর্ণগ্রাফি আইনে একটি মামলা। র্যাবের করা জব্দ তালিকায় পরীমনির বাসা থেকে ‘বিপুল পরিমাণ মদ এবং আইস ও এলএসডির মতো মাদকদ্রব্য’ উদ্ধারের কথা বলা হয়। আর রাজের ফ্ল্যাট থেকে মদ ও ইয়াবার সঙ্গে ‘সেক্স টয়’ এবং একটি সাউন্ড বক্স জব্দ করার কথা বলা হয়।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চারজনকে আদালতে তোলা হলে মাদক আইনের দুই মামলায় চারজনকে চার দিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন ঢাকার মহানগর হাকিম মো. মামুনুর রশিদ। পরীমনির পক্ষে তার আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল করে জামিনের আবেদন জানালেও তা নাকচ করে দেন বিচারক।
র্যাব মুখপাত্র বলেন, “এসব পার্টি শুধু দেশে নয়, দেশের বাইরেও হয়ে থাকে। পার্টিতে অংশগ্রহণকারীদের কাছ থেকে তারা বিপুল পরিমাণ অর্থ পেয়ে থাকেন। এসব অবৈধ অর্থ রাজ ঠিকাদারি ব্যবসা ছাড়াও শোবিজ জগতে ব্যবহার করতেন।”
এসব ব্যবসায় অর্থ জোগানদাতা কয়েকজন সম্পর্কে রাজ তথ্য দিয়েছেন জানিয়ে আল মঈন বলেন, “তার দেওয়া তথ্য আমরা যাচাই করে দেখছি।”