Skip to content

বাংলাদেশের প্রকৌশলী বাশিমার নাম ফোর্বস ম্যাগাজিনে বিজ্ঞানীদের তালিকায়

বাংলাদেশের প্রকৌশলী বাশিমার নাম ফোর্বস ম্যাগাজিনে বিজ্ঞানীদের তালিকায়

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী বাশিমা ইসলাম। ২০১৬ সালে উচ্চশিক্ষার জন্য পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রে। গবেষণা আর উদ্ভাবনে তার কাজের স্বীকৃতি এসেছে বিশ্বখ্যাত মার্কিন ম্যাগাজিন ফোবর্স থেকে। ম্যাগাজিনটির ‘৩০ আন্ডার ৩০’-এর সায়েন্স ক্যাটাগরিতে জায়গা করে নিয়েছেন প্রকৌশলী বাশিমা ইসলাম। এ বছর ‘৩০ আন্ডার ৩০’ প্রকাশের এক দশক উদযাপন করছে ফোর্বস। গত দশ বছরে ফোর্বসের তালিকায় জায়গা পেয়েছেন ৬০০ জন উদ্যোক্তা, উদ্ভাবক ও বিনোদনদাতা। ফোর্বস বলছে, বাজি ধরে বলা যায় এই ছয়শ’ জন যে পৃথিবীর কল্পনা করছেন আজ থেকে দশ বছর পর আমরা তেমন পৃথিবীতে বাস করবো।

বাশিমা ইসলামের ব্যাপারে ফোর্বস লিখেছে, ওর্স্টার পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের এই সহকারী অধ্যাপক, ইন্টারনেট অব থিংস (আইওটি) ডিভাইসের প্রজন্মের উন্নতি নিয়ে কাজ করছেন। যা সৌরশক্তি এবং রেডিও তরঙ্গ ব্যবহার করে চার্জ হবে। এ ছাড়া তার এসব ডিভাইস হবে শব্দভেদী। এসব ডিভাইস পথচারীদের নিরাপত্তা দিতে সহায়তা করবে। যানবাহনের চলাচলের শব্দ শুনে এটি পথচারীদের নিরাপদ অবস্থানে গিয়ে দাঁড়ানোর নির্দেশ দিতে পারবে।

আইওটি ডিভাইসগুলো প্রচলিত ডিভাইসের চেয়ে কিছুটা আলাদা। এগুলো ওয়্যারলেস সিগন্যাল ও সংযোগের মাধ্যমে কাজ করে থাকে। ওর্স্টার পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটকে বাশিমা বলেন, “আমার ইন্টারডিসিপ্লিনারি গবেষণার বিষয়বস্তু বহুমুখী। এটি একাধারে মেশিন লার্নিং, মোবাইল কম্পিউটিং, এম্বেডেড সিস্টেমস, ইউবিকুইটাস কম্পিউটিংকে সংযুক্ত করেছে”।

বাশিমা চ্যাপেল হিলের ইউনিভার্সিটি অব নর্থ ক্যারোলিনা থেকে ২০২১ সালে পিএইচডি সম্পন্ন করেন। বর্তমানে তিনি ইউনিভার্সিটি অব ইলিনয়ে অধ্যাপক রমিত রায় চৌধুরী এবং অধ্যাপক ন্যান্সি ম্যাক এলওয়াইনের অধীনে ভিজিটিং পোস্ট-ডক্টরাল গবেষণা সহায়ক হিসেবে কাজ করছেন।

বাশিমা ইসলাম ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ২০০৮ সালে এসএসসি ও ২০১০ সালে এইচএসসি পাস করেন। এরপর ২০১৬ সালে বুয়েটের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে বিএসসি ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। ওইসময় তার থিসিস অ্যাডভাইজার ছিলেন ড. রিফাত শাহরিয়ার। বাশিমার সাফল্যে প্রফেসর ড. রিফাত উচ্ছ্বসিত। তিনি বলেন, শিক্ষকতা জীবনে প্রথম তিনি বাশিমা ও তার ব্যাচের কিছু শিক্ষার্থীর থিসিস সুপারভিশন করেছিলেন। বাশিমা সফলতার সঙ্গে থিসিস সম্পন্ন করেন। যা পরবর্তীতে রিসার্চ পেপার হিসেবে একটি ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্সে উপস্থাপন করা হয়েছিল। বাশিমা তার কাজের ব্যাপারে খুবই ডেডিকেটেড। তিনি রিসার্চের ক্ষেত্রে যেসব প্রবলেম নিয়ে কাজ করতেন সেগুলো অত্যন্ত গভীরভাবে চিন্তা করে সমাধানের চেষ্টা করতেন। খুবই পরিশ্রমী ও কাজের প্রতি যত্নশীল ছিলেন তিনি। তিনি আন্ডারগ্রাজুয়েটে যে মানের থিসিস তৈরি করেছিলেন তা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার।

সূত্র: ভয়েজ অব আমেরিকা