ঢাকাই চলচিত্রের বিতর্কিত নায়িকা পরীমণিকে তার বনানীর বাসা থেকে আটক করা হয়েছে। এসময় তার বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মদের বোতল জব্দ করা হয়।
আজ বুধবার (৪ আগস্ট) সন্ধ্যায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটিলিয়নের (র্যাবের) সদস্যরা অভিযান চালিয়ে তাকে আটক এবং তার বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মদ জব্দ করে ।
এর আগে বিকাল ৪টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লাইভে অভিযোগ করেন পরিমনি। এতে তিনি বলেন, তার বাসায় ‘বিভিন্ন পোশাকে’ লোকজন এসে ফ্ল্যাটের দরজা খুলতে বলছেন। কিন্তু তিনি দরজা খুলতে ভয় পাচ্ছেন। এজন্য সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট কিছু অভিযোগের ভিত্তিতে তার বাসায় অভিযান চালানো হচ্ছে, বিস্তারিত পরে জানানো হবে।’
পরীমনিকে আটক করা হবে কি-না জানতে চাইলে খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘অভিযোগ প্রমাণ হলে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হতে পারে।’
উলে্লখ্য, পরীমনি দীর্ঘদিন ধরে আলোচনায় রয়েছেন। কিছুদিন আগে ঢাকার সাভারের বোটক্লাবে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন অভিযোগ করে আলোচনায় আসেন তিনি। সে ঘটনায় কয়েকজন গ্রেফতারও হয়েছিলেন, তারা আবার জামিনও পেয়েছেন। এর মধ্যেই আবার একাধিক ক্লাবে পরীমনির ভাঙচুরের অভিযোগ করেন সংশ্লিষ্টরা।
কদিন আগে মডেল পিয়াসা-মৌ নামে দুই মডেলের বাসায় পুলিশের সদস্যরা অভিযান চালিয়ে মদ, ইয়াবা ও সিসা উদ্ধার করে। তাদের গ্রেপ্তারের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় পরীর বাসায় কবে অভিযান করা হবে এমন স্ট্যাটাস দেন শোবিজ সংশ্লিষ্ট অনেকেই।
কারণ ধর্ষণের অভিযোগে পরী যেদিন গণমাধ্যমকর্মীদের ডেকে বাসায় সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন। তখন সাংবাদিকদের সামনে পরীর বাড়িতে বিপুল মদের সংগ্রহ চোখে পড়ে।
এবার পরীকে আটকের পর বিপুল মাদক জব্দ করেছে র্যাব। এতো মাদক দিয়ে নায়িকা কী করতেন সেই প্রশ্ন এখন মানুষের মুখে মুখে। তার বাসাতেও রাতভর মাদক সেবন চলত কিনা সঠিক তদন্ত হওয়া প্রয়োজন বলে মত দিয়েছে মিডিয়া সংশ্লিষ্টরা। এতো মদ রাখার অনুমোদন তার আছে কিনা সে প্রশ্নও উঠে এসেছে।