সচিবালয়ে এওপিওদের চাকরি নবম গ্রেডে উন্নীত করাসহ নয় দফা দাবিতে মঙ্গলবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের করিডোরে কয়েকশ’ কর্মকর্তা-কর্মচারী বড় ধরনের শোডাউন করেছেন।
সচিবালয় কর্মকর্তা ও কর্মচারী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে সংগঠনের সিনিয়র নেতারা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন অনুবিভাগ) মো. আলি কদর এবং প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন একান্ত সচিব মো. রেজাউল আলমের সঙ্গে মতবিনিয়ম করেন।
মতবিনিময় শেষে ঐক্য পরিষদের নেতা মোহাম্মদ আলী, রুহুল আমীন ও হেলাল উদ্দিন উপস্থিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ব্রিফিং করেন। তারা বলেন, কর্মচারীদের ৯ দফা দাবি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। দাবির যৌক্তিকতা বিবেচনায় নিয়ে মন্ত্রণালয় পরবর্তী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন। তবে আমাদের স্পষ্ট বক্তব্য হল, ন্যায্য দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কেউ পিছপা হব না।
এর আগে বেলা ১১টার দিকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ থেকে কয়েকশ’ কর্মকর্তা-কর্মচারী (১০ম থেকে ২০তম গ্রেড) প্রথমে অতিরিক্ত সচিব আলি কদরের কক্ষের সামনে সমবেত হন। তখন তিনি দফতরে ছিলেন না। এরপর তারা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. জাফর ইকবালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান। তিনিও তখন দফতরে ছিলেন না। সেখান থেকে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রতিমন্ত্রীর দফতরে যান। প্রতিমন্ত্রী না থাকায় একান্ত সচিবের সঙ্গে দাবিদাওয়া নিয়ে কথা বলেন।
এ সময় উপস্থিত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রায় এক ঘণ্টা সেখানে অবস্থান করেন। পরবর্তীতে বেলা আড়াইটায় অতিরিক্ত সচিব আলি কদরের সঙ্গে ঐক্য পরিষদের একটি প্রতিনিধি দল দেখা করে দাবির বিষয়গুলো তুলে ধরেন।
ঐক্য পরিষদের অন্যান্য দাবির মধ্যে রয়েছে- উপসচিবসহ অন্য কর্মকর্তাদের মতো ৫০০ সুপারনিউমারি পদ সৃষ্টি করে এওপিওদের সহকারী সচিব পদে পদোন্নতি দেওয়া, আগের মতো সিলেকশন গ্রেড ও টাইমস্কেল চালু করা, সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন বৈষম্য দূর করা, ব্লক পদ বাতিলপূর্বক শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী পদোন্নতির ব্যবস্থা করা, পেনশনের হার ২৩০ থেকে ৩০০ টাকায় উন্নীত করা, জাতীয় বেতন-স্কেলের সুপারিশ অনুযায়ী ৫০ শতাংশ হারে সচিবালয় ভাতা দেওয়া, সহকারী সচিবের প্রাপ্য ১৮৪টি পদ সংরক্ষণ করা প্রভৃতি।