Skip to content

৫৭ ফুট উঁচু বুদ্ধমূর্তি পূজারিদের তীর্থস্থান নজরকাড়া

৫৭ ফুট উঁচু বুদ্ধমূর্তি  পূজারিদের তীর্থস্থান  নজরকাড়া

পর্যটক বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের নজর কাড়ছে বান্দরবান শহরে গৌতম বুদ্ধের ৫৭ ফুট উচ্চতার নবনির্মিত মূর্তি গোল্ডেন টেম্পল। জেলা শহরের কানাপাড়া এলাকায় বিশাল বুদ্ধমূর্তিকে ঘিরে নির্মিত হচ্ছে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের উপাসনালয়। দর্শনার্থীদের নজরকাড়া, দৃষ্টিনন্দন এই বুদ্ধ মঠ একদিকে যেমন বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের তীর্থস্থান, অপরদিকে পর্যটকদের জন্য হবে দর্শনীয় স্থান।

বান্দরবান শহর থেকে চার কিলোমিটার দূরে বান্দরবানকেরানিহাট সড়কের কানাপাড়া এলাকায় নির্মাণাধীন বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের উপাসনালয় এই মঠ। টেম্পলটির প্রধান আকর্ষণ ন্ডায়মান ৫৭ ফুট উচ্চতার বুদ্ধমূর্তি। পাহাড়ের চূড়ায় নির্মিত বিশাল এই মূর্তির সৌন্দর্য ইতোমধ্যে নজর কেড়েছে ভ্রমণ পিপাসুদের। প্রাকৃতিক পরিবেশে নান্দনিক স্থাপত্য শৈলীতে নির্মিত বুদ্ধ মঠে ফুটে উঠেছে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের ইতিহাস ঐতিহ্য।

জানা যায়, পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপির ব্যক্তিগত উদ্যোগ এবং স্থানীয় দানবীরদের অনুদান, পার্বত্য জেলা পরিষদ পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সার্বিক সহযোগিতায় কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে এই গোল্ডেন বৌদ্ধ বিহারের কাজ শেষ করা হয়। উন্মুক্ত হওয়ার পর এই বৌদ্ধ মূর্তি দেখতে পূজারিদের পাশাপাশি পর্যটকদেরও ঢল নেমেছে।

সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সম্পূর্ণ বিদেশী ডিজাইনে দৃষ্টিনন্দন বুদ্ধ মূর্তি টেম্পলটির নির্মাণশৈলী ফুটিয়ে তুলতে কাজ করছেন দেশীবিদেশী কারিগররা। টেম্পলটি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বৌদ্ধ ধর্মানুসারীদের জন্য হবে তীর্থস্থান এবং পর্যটকদের জন্য হবে দর্শনীয় স্থান। শুধু তাই নয়, টেম্পলটির কারণে জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। গোল্ডেন টেম্পলটি দেখার জন্য এরইমধ্যে দূরদূরান্ত থেকে আসা প্রচুর পর্যটক ভিড় করছেন। এই গোল্ডেন টেম্পলটি দেখতেও অনেক ভালো লাগে।

গোল্ডেন টেম্পলটির ডিজাইনার কি মং রাখাইন জানিয়েছেন, গোল্ডেন বৌদ্ধ বিহারের কাজ সম্পূর্ণ আলাদা। ায়মান বুদ্ধমূর্তি, সুদৃশ্য প্রবেশদ্বার, বিশাল আকৃতির হাতি, ড্রাগন আর সিংহসহ মনোরম কয়েকটি স্থাপনা তৈরি করেছি, যা দেখতে খুবই চমৎকার। নবনির্মিত গোল্ডেন টেম্পলটি উপাসক উপাশিকা পূজারী দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।

গোল্ডেন বুদ্ধ মনিস্ট্রি বিহার পরিচালনা কমিটি সাধারণ সম্পাদক মংহ্লা জানান, এই বিহার বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের জন্য একটি তীর্থস্থান, পার্বত্য এলাকাসহ দেশের বিভিন্নস্থানের পূজারীরা এখানে ছুটে আসবেন।

গোল্ডেন টেম্পল প্রতিষ্ঠাতা পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি জানিয়েছেন, পূজারীদের জন্য তীর্থস্থান পর্যটকদের জন্য দর্শনীয় স্থানের কথা চিন্তা করে গোল্ডেন টেম্পলটি নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে নিজের দুই একর জায়গার ওপর বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের উপাসনালয় এবং টেম্পলটি নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

গত শনিবার (২২ জুলাই) গোল্ডেন বুদ্ধ মনিস্ট্রি (শোওয়ে রেদানাহ্ বুং ক্যং দঃগ্রী) বিহারের বুদ্ধ অভিষেক বিহারাধ্যক্ষ ফাং অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উদ্বোধন করা হয় বলে জানান পার্বত্য মন্ত্রী।

 



বার্তা সূত্র