Skip to content

৫টা নয়, পায়ের পাতায় মাত্র দু’টি আঙুল নিয়েই বাঁচেন এই গোষ্ঠীর মানুষ! কোথায়, জানুন

৫টা নয়, পায়ের পাতায় মাত্র দু’টি আঙুল নিয়েই বাঁচেন এই গোষ্ঠীর মানুষ! কোথায়, জানুন

বড় বিচিত্র এই পৃথিবী। হাজার রকমের প্রাণী আর উদ্ভিদের বাস এই নীলগ্রহে। তার প্রতিটি কোণায় রয়েছে চমক। যার সমস্তটা আজও আবিষ্কার করে উঠতে পারেনি মানুষ। এক দেশের মানুষ জানতেও পারে না পৃথিবীর প্রান্তে ঠিক কেমন মানুষের বাস। স্যাটেলাইট, ইন্টারনেটের যুগেও অনেক কিছু অধরা।

অন্য প্রাণী তো বটেই, এই পৃথিবীতে এমন মানুষও রয়েছে যাদের শারীরিক গঠন সম্পর্কেও আমরা খুব একটা অবগত নই। এই পৃথিবীতেই রয়েছে এমন এক উপজাতির মানুষ, যাঁদের শারীরিক গঠন বিচিত্র। আবার এক অর্থে দেখতে গেলে একে শারীরিক ত্রুটিও বলা যেতে পারে। এঁদের চেহারা মানুষের মতো। কিন্তু এদের পা দেখলে অবাক হতেই হয়। এঁদের পায়ের পাতা সাধারণ মানুষের মতো নয়। এঁদের পায়ে পাঁচটি আঙুল নেই। বরং রয়েছে মাত্র ২টি আঙুলের মতো অংশ।

আরও পড়ুন- ইট, সিমেন্ট ছাড়াই তৈরি ইঞ্জিনিয়ার দম্পতির আশ্চর্যবাড়ি! প্রচণ্ড গরমেও লাগে না পাখা

সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডোমা ট্রাইব নামে পরিচিত এই উপজাতির মানুষেরা ওয়াডোমা বা বান্তওয়ানা উপজাতি নামে পরিচিত। তাঁদের পা অনেকটা উটপাখির মতো। তাই তাঁদের অনেক সময় উটপাখি বলেই চিহ্নিত করে তথাকথিত সভ্য ও স্বাভাবিক মানুষেরা। এই উপজাতি জিম্বাবোয়ের কানয়েম্বা অঞ্চলের বাসিন্দা।

কিন্তু কেন এঁদের শারীরিক গঠন অন্যদের থেকে আলাদা! মনে করা হচ্ছে, এই সম্প্রদায়ের মধ্যে রয়েছে একটি জিনগত ত্রুটি। এঁরা প্রত্যেকেই একট্রোডাকটিলি নামক একটি বিশেষ জিনঘটিত ব্যাধির শিকার। এই কারণেই তাঁদের পায়ে ৫টির পরিবর্তে মাত্র ২টি আঙুল রয়েছে।

আরও পড়ুন– এই ৫ আচরণই চিনিয়ে দেবে অহঙ্কারীদের; সময় থাকতেই দূরত্ব বজায় রাখা আবশ্যক!

এই অসুখ ‘লবস্টার ক্ল সিনড্রোম’ নামে পরিচিত। এতে জন্ম থেকেই পায়ের এক বা একাধিক আঙুল থাকে না। মনে করা হয়, ডোমা উপজাতির প্রতি চতুর্থ সন্তানের এই সমস্যা রয়েছে, বেশিরভাগ লোকের পায়ের মধ্যে তিনটি আঙুল নেই।

এই গোষ্ঠীর নিয়ম অনুযায়ী এঁরা কখনও অন্য গোষ্ঠীর মানুষকে বিবাহ করতে পারেন না। সেক্ষেত্রে আইনি বাধাও রয়েছে। ফলে এই জিনঘটিত অসুখ এই সমাজের মধ্যেই আবদ্ধ। এমন পা নিয়ে মানুষগুলি ঠিক মতো হাঁটতে পারেন না। এঁরা জুতোও ব্যবহার করেন না। তবে তাতে কোনও অসুবিধা বলেও তাঁরা মনে করেন না। বরং দিব্যি তরতর করে গাছ বেয়ে উঠে যান প্রয়োজন মতো।

Published by:Siddhartha Sarkar

First published:

Tags: Viral News

বার্তা সূত্র