নিউজ ডেস্ক: নিউজ ডেস্ক: আদালতের নজিরবিহীন রায়ে চাকরি বাতিল হয়েছে ৩৬ হাজার শিক্ষকের। নিয়োগ বাতিলকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে যাচ্ছেন প্রাথমিক শিক্ষকরা। রাজ্যে ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের নিয়োগ বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
এরই মধ্যে চাকরি বাতিল নিয়ে বিস্ফোরক পোস্ট করলেন বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। একটি ফেসবুক পোস্টে এই বিজেপি নেতা লিখেছেন,
চাকরি বাতিল হওয়ার অনেকগুলো কারণ ছিল।।
Aptitude Test না হওয়াটাই একমাত্র কারণ নয়।।
সবকটা কারণ এখানে বলা সম্ভব নয়, কারণ ফেসবুক এতকিছু লেখার অনুমতি দেবেনা আর সম্পূর্ণ আর্গুমেন্ট আমার এখানে লেখার কোন ইচ্ছাও নেই।।
তাও কিছু পয়েন্ট আপনাদের জানানো উচিত।।
• West Bengal Primary School Teachers Recruitment Rules, 2016 was not followed by the Board.
• Panel should have been prepared by selection committee not by third party agency.
• Reservation roaster was not followed. The person from reserved category who cleared general cut off marks has not been selected though he had a right to contest in general/unreserved category.
• No APTITUDE TEST was ever taken up and there was no guideline for taking APTITUDE TEST.
• Extra numbers were given in Viva and APTITUDE TEST to accommodate less meritorious candidates by depriving the petitioners.
• Appointments made without following rules are void ab initio.
• Evidence recorded under section 165 of the Evidence Act have been proved as the Deponents were not cross examined and it proves that Board has accepted the contention which means that no APTITUDE TEST was taken.
• Same situation arose in Tripura where selections have been totally unfair. The selections have not been made in transparent manner. The citizens of this country have not been treated equally and the entire policy was bad as it has no guidelines and accordingly, whole selection procedure was scrapped.
প্রায় কুড়িটা পয়েন্টের মধ্যে কয়েকটা পয়েন্ট আপনাদের জানার জন্য দিলাম কারণ মিডিয়াতে ভুল বার্তা যাচ্ছে এবং অনেকেই বুঝতে পারছেন না কি হলো।।
কয়দিন আগেই যখন বলেছিলাম যে রিজার্ভেশন পলিসি মানা হয়নি তখন অনেকে তেড়ে এসেছিল এবং বলেছিল যে রিজার্ভেশনের মামলা নাকি হাইকোর্টে খারিজ হয়েছে।। তাই ওই পয়েন্টে আর কিছু বলা যাবে না।।
WP 6894 (W) of 2017 and WPA 23102 of 2018, মূলত এই দুটো মামলার কথাই বলছিলেন নিশ্চয়ই ওই ব্যক্তিরা যারা বলেছিল রিজার্ভেশন মামলা খারিজ হয়েছে।।
তাদেরকে অনুরোধ করব এই দুটো মামলার অর্ডারগুলো একটু পড়ে নেওয়ার জন্য কারণ এই অর্ডারে পরিষ্কার লেখা ছিল যে reservation মানা হয়নি এই সংক্রান্ত কোনো প্রমাণ পিটিশনাররা দিতে পারেনি তাই মামলা খারিজ হচ্ছে।
গতকালকের মামলায় প্রমাণ কিন্তু দেওয়া হয়েছিল।।
৩৬ হাজার চাকরি বাতিলের কথা হচ্ছে এবং ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি যে সংখ্যাটা একটু গোলমাল হয়েছে।। প্রয়োজন হলে তার ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং আরো দু-একটা ছোটখাটো ভুল আছে সেটাও Hon’ble Court কে জানানো হবে ।।
এই 36 হাজারের মধ্যে অনেকেই চাকরি ফিরে পাবেন কিন্তু একটা বড় অংশের চাকরি যাবে আজ নয় কাল।
নিয়ম মানা হয়নি, এটা পরিষ্কার।। নিয়ম না মানার ফলে কি হয় সেটা ত্রিপুরা নিয়োগ কান্ড থেকে আশা করি শিক্ষা নিয়েছেন।
আমি আবার বলছি, আমি কারো পক্ষে অথবা বিপক্ষে নয়।।
যেটা সত্যি এবং যেটা ন্যায় , আমি তার পক্ষে।।
অনেকে এটা বলে দোহাই দিচ্ছেন যে ওই শিক্ষকরা অনেকেই ট্রেনিং পেয়ে গেছিল।।
যারা ট্রেনিং নিতে পারেনি পয়সার অভাবে তাদের কথা কেউ বলছে না। নিয়ম মেনে যদি চাকরি হতো তাহলে চাকরিটা তারাই পেত এবং তাদের ট্রেনিং হয়ে যেত।।
নিয়ম মেনে যদি চাকরি হতো তাহলে এই ৩৬ হাজারের অনেকেই শিক্ষক হতে পারতেন না।।
সুযোগ সবার জন্য ওপেন হল।। সবাই নিজের যোগ্যতা প্রমাণের সুযোগ পাবে form fill up এর দিনের মানে সেই ২০১৬ তে তাদের যা যোগ্যতা ছিল সেই হিসাবে।
যারা বলছেন যে Non-trained রা কি পেল এই মামলা থেকে।। তাদের জন্য কয়েকটা লাইন যুক্ত না করলে অনুচিত হবে।।
তাদের প্রাপ্তি অনেকটাই এবং সবথেকে বড় প্রাপ্তিগুলোর নিচের পয়েন্টে দেওয়া হল।
১. নিয়োগ প্রক্রিয়া যেদিনকে হয়েছিল সেই যোগ্যতায় আবার নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বসার সুযোগ।।
২. Age bar relaxation
৩. Reservation Roster এবং বোর্ডের নিয়ম অনুযায়ী নিয়োগে অংশগ্রহণ করার সুযোগ।।
৪. সব থেকে বড় প্রাপ্তি হল Fair process এ যোগদানের সুযোগ।।