স্পেন ও দুবাই সফর সেরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতায়
ফিরেছিলেন গত ২৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায়। তার পরের দিন এসএসকেএম হাসপাতালে তাঁর পায়ের
পুরনো জায়গায় নতুন করে চোট পাওয়ার চিকিৎসা হয়। ২৪ সেপ্টেম্বর হাসপাতাল থেকে বাড়ি
ফেরার পর চিকিৎসকদের পরামর্শে গৃহবন্দি ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। শুক্রবার ৩৩ দিন পর তিনি
বাড়ির বাইরে পা রাখবেন। বিকেলে তাঁর গন্তব্য রেড রোডের পুজো কার্নিভাল।
এই ৩৩ দিন ঘরে থাকলেও প্রশাসন ও দলীয় কর্মসূচির নিয়মিত তদারকি করেছেন। শুধু
সশরীরেই থাকতে পারেননি। অক্টোবরের ২ এবং ৩ তারিখ কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে
দিল্লিতে তৃণমূলের আন্দোলন ছিল। সেখানেও যেতে পারেননি তৃণমূলনেত্রী। তার পর ৫
অক্টোবর থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রাজভবনের উত্তর গেটের সামনে
ধর্নাতেও ছিলেন না। এ বার মহালয়ার আগে থেকে পুজো উদ্বোধনও বাড়ি থেকে ভার্চুয়াল
মাধ্যমে করেন মুখ্যমন্ত্রী। মহালয়ার দিন দলের মুখপত্রের উৎসব সংখ্যা উদ্বোধনও করেন
ভার্চুয়ালি। গত ১২ অক্টোবর বাড়িতেই রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। যা
বাংলার ইতিহাসে নজিরবিহীন।
আরও পড়ুন:
গত বিধানসভা ভোটের প্রচারের সময় মুখ্যমন্ত্রী নন্দীগ্রামে পায়ে আঘাত
পেয়েছিলেন। তবে তখনও এত দিন ঘরবন্দি থাকেননি তিনি। দিন কয়েক হাসপাতালে কাটিয়ে
হুইলচেয়ারে করেই প্রচারে বেরিয়ে পড়েছিলেন। তৃণমূল স্লোগান দিয়েছিল— ‘ভাঙা পায়েই খেলা
হবে।’ গত
পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারের সময়েও কপ্টার বিভ্রাটের কারণে পায়ে আঘাত পেয়েছিলেন
মমতা। তখনও এমনটা হয়নি। তবে স্পেন সফরে তাঁর পুরনো চোটের জায়গায় নতুন করে আঘাত পান
মুখ্যমন্ত্রী। তা গুরুতর আকার নেয়। সেই জন্যই কলকাতায় ফিরেই এসএসকেএমে গিয়ে
চিকিৎসা করান মমতা। নেন চিকিৎসকদের পরামর্শও। চিকিৎসকেরাই তাঁকে হাঁটাচলা বন্ধ করে
বাড়িতে থেকে বিশ্রাম নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। ভার্চুয়াল পুজো উদ্বোধনে
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, তাঁর পায়ে সংক্রমণ বেড়েছে। তাঁকে ‘আইভি ইঞ্জেকশন’ নিতে হচ্ছিল বলেও
জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এখন অনেকটাই সেরে উঠেছেন তিনি। শুক্রবার তিনি যাবেন
কার্নিভালে।
Google News,
X (Twitter),
Facebook,
Youtube,
Threads এবং
Instagram পেজ)