ফাইল চিত্র |
নিউজ ডেস্ক: ফের মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) নিয়ে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য সরকারি চাকরি করে কেন্দ্রীয় হারে DA চাইব তা তো হয় না! এমনই মন্তব্য করলেন মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার বিকেলে আলিপুর আদালতে ঋষি অরবিন্দের মূর্তি উন্মোচন অনুষ্ঠানে গিয়ে একথা বলেন তিনি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমি কারোর অধিকার কাড়ার পক্ষে নই, আমি অধিকার দেওয়ার পক্ষে। জেনুইন যে অধিকারটা দেওয়া যায়। যেটা আইনত স্বীকৃত। আমাদের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় ভাগ আছে। রাজ্য সরকার তার নীতি অনুসারে চলে, কেন্দ্র তার আর্থিক কাঠামো অনুসারে চলে। কেন্দ্রীয় সরকারের রিজার্ভ ব্যাঙ্ক আছে। রাজ্য সরকারের নেই। রাজ্য সরকারের টাকা ছাপানোর ক্ষমতাও নেই। আগে অনেকরকম কর আদায় হত। এখন একটাই কর, GST. পুরো টাকাটা কেন্দ্র তুলে নিয়ে যায়। তার যতটা আমাদের দেওয়া হবে বলা হয়েছিল ততটা দেওয়া হয় না’।
মমতার দাবি, ‘আমি যখন বিরোধী দলে ছিলাম আমি দেখতাম, শিক্ষকরা মাইনে পায় না এক তারিখে। ১৫ তারিখ… ২০ তারিখ, কখনও ৩ মাস, ৬ মাস মাইনে পেত না। সরকারি কর্মচারীরা পেত না। টাইমে পেনশন পেত না। আজ আমি গর্ব করে বলতে পারি, এত ধার করে রেখা যাওয়া সত্বেও আমরা কিন্তু অনেকটাই ধার শোধ করেছি। আমরা কিন্তু ১ তারিখে মাইনেটা দিই’।
রাজ্যের সরকারি কর্মীদের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যে গরমেন্ট এত মানবিক, সেই গরমেন্ট নিয়ে ভাববেন না। রাজ্য সরকারের পে কমিশন রাজ্য সরকারের পে কমিশন অনুসারে চলে। ষষ্ঠ বেতন কমিশন যে টাকা সুপারিশ করেছে আমরা দিয়েছি। কিন্তু আপনারা যদি বলেন কাজ করবেন রাজ্যের আর কেন্দ্রীয় সরকারের হারে DA দিতে হবে। তা তো হয় না। সেন্ট্রাল স্কুল আলাদা মাইনে পায়, স্টেটের স্কুল আলাদা মাইনে পায়। স্টেটের স্ট্রাকচার আলাদা। সেন্ট্রালের স্ট্রাকচার আলাদা। আমার যদি ক্ষমতা থাকে, আমি ভালোবেসে দিই, নিশ্চই দেব। সিপিএমের সময় দেওয়া হয়েছিল ৩৩ শতাংশ। আমরা দিয়েছি ১০৬ শতাংশ। ২০১৯-এর ষষ্ঠ বেতন কমিশনের পুরোটাই আমরা দিয়েছি। এবার আপনারা বলুন তো যে সরকারটা এত মানবিক, একদিকে স্বাস্থ্যসাথী চলছে, একদিকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার চলছে, একদিকে বিনা পয়সায় স্কুল চলছে, স্কুলের ড্রেসটাও চলছে, ১০০০ টাকা পেনশনও চলছে, জয় জোহারও চলছে, ফ্রিতে রেশনও চলছে, আর কত করতে পারে একটা সরকার?’