Skip to content

১৫৫ রানের লিড নিয়ে থামল বাংলাদেশ

Mushfiqur Rahim

বুধবার মিরপুরে একমাত্র টেস্টের দ্বিতীয় দিনের শেষ সেশনে গিয়ে  ৩৬৯  রানে অলআউট হয়েছে সাকিব আল হাসানের দল। আয়ারল্যান্ডের ২১৪ রান ছাপিয়ে ১৫৫ রানের লিড নিয়েছে স্বাগতিকরা।

ছবি: ফিরোজ আহমেদ/স্টার

“>
Mushfiqur Rahim

ছবি: ফিরোজ আহমেদ/স্টার

প্রতিপক্ষ অনভিজ্ঞ, তাদের বোলিংও হচ্ছিল ধারহীন। বাংলাদেশের সুযোগ ছিল বিশাল পুঁজি গড়ার। মুশফিকুর রহিমের সেঞ্চুরিতে সেই আভাস মিললেও শেষ পর্যন্ত সাড়ে তিনশো ছাড়িয়েই থেমেছে বাংলাদেশ।

বুধবার মিরপুরে একমাত্র টেস্টের দ্বিতীয় দিনের শেষ সেশনে গিয়ে  ৩৬৯  রানে অলআউট হয়েছে সাকিব আল হাসানের দল। আয়ারল্যান্ডের ২১৪ রান ছাপিয়ে ১৫৫ রানের লিড নিয়েছে স্বাগতিকরা।

দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১২৬ রান করেছেন মুশফিক। অধিনায়ক সাকিব ৯৪ বলে ৮৭ ও লিটন দাস করেন ৪১ বলে ৪৩। সাতে নেমে অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজের ব্যাট থেকে আসে ৫৫ রান। আয়ারল্যান্ডের সেরা বোলার অফ স্পিনার অ্যান্ডি ম্যাকব্রেইন। ২৮ ওভার হাত ঘুরিয়ে ১১৮ রান দিয়ে ক্যারিয়ার সেরা ৬ উইকেট পেয়েছেন তিনি।

৫ উইকেটে ৩১৬ রান চা-বিরতির পর নেমে বেশিদূর এগুনো যায়নি। সেঞ্চুরিয়ান মুশফিকুর ম্যাকব্রেইনের বলে স্লগ সুইপের চেষ্টায় গিয়েছিলেন। ব্যাটের উপরের কানায় লেগে সোজা ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। ১৬৬ বলের উপস্থিতিতে ১৫ চার, ১ ছয়ে ১২৬ রান করেন তিনি।

১১৮ রানে ৬ উইকেট নেন অ্যান্ডি ম্যাকব্রেইন। ছবি: ফিরোজ আহমেদ/স্টার

“>
Andy McBrine

১১৮ রানে ৬ উইকেট নেন অ্যান্ডি ম্যাকব্রেইন। ছবি: ফিরোজ আহমেদ/স্টার

খানিক পর ম্যাকব্রেইনের বলে বোল্ড হয়ে যান তাইজুল ইসলাম। টেকেননি শরিফুল ইসলাম, ইবাদত হোসেনও। ৩৫৪ রানে পড়ে যায় ৯ উইকেট। খালেদ আহমেদকে এক পাশে রেখে অবশ্য নিজের ফিফটিটা তুলে নেন মিরাজ। লেগ স্পিনার বেন হোয়াইটকে এগিয়ে এসে উড়াতে স্টাম্পিং হয়ে থামেন মিরাজ ও বাংলাদেশের ইনিংস।

এর আগে পুরো দিনে আলো ছড়ান মুশফিক-সাকিব। চতুর্থ উইকেটে ১৮৮ বলে ১৫৯ রানের জুটি আনেন তারা। দিনের শুরুতে মুমিনুল হককে হারিয়ে ৪০ রানে ৩ উইকেটে পরিণত হয় বাংলাদেশ। খানিনটা চাপও তৈরি হয়েছিল। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে সেই চাপ উড়িয়ে দেন সাকিব।

মাত্র ৪৫ বলে ফিফটি তুলে নেন তিনি। আইরিশ বোলাররাও ছিলেন বেশ আলগা। ওভারপ্রতি প্রায় ৫ করে রান নিতে থাকে বাংলাদেশ। সাকিব শেষ পর্যন্ত সেঞ্চুরি না পেলেও মুশফিক সুযোগ হাতছাড়া করেননি।

ছয়ে নেমে লিটনও ছিলেন অ্যাটাকিং মুডে। সাদামাটা বোলিং গুঁড়িয়ে একের পর এক বাউন্ডারি আনতে থাকেন তিনিও। দ্রুত ফিফটির দিকে থাকা লিটন থামেন অতি আত্মবিশ্বাসের কারণে। হোয়াইটকে বড় শটে উড়াতে গিয়ে সহজ ক্যাচে শেষ হয় তার সম্ভাবনাময় ইনিংস।

বার্তা সূত্র