কতিপয় এনজিও কর্তৃক হিন্দু আইন পরিবর্তন প্রচেষ্টার প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয় হিন্দু মহাজোট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার উদ্যোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (২৬ মে) সকালে মানববন্ধনে হিন্দু মহাজোটের জেলা সভাপতি জয়শংক চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রখেন জেলা হিন্দু মহাজোটের সাধারন সম্পাদক প্রবীর চৌধুরী রিপন।
আরো উপস্থিত ছিলেন- সহ-সভাপতি সুমন সাহা,সনাতন বিদ্যার্থী সংসদের সভাপতি বিরকুমার চৌধুরী, সাধারন সম্পাদক রাজু দেবনাথ, হিন্দু মহাজোটের সদস্য বিকাশ সুত্রধর প্রমুখ।
মানববন্দনে বক্তাগণ বলেন, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনসহ কয়েকটি এনজিও হাজার হাজার বছর ধরে শান্তিপূর্ণভাবে চলে আসা সুসংহত হিন্দু বিধি বিধান নষ্ট করে হিন্দু সম্প্রদায়ের ঘরে ঘরে দন্দ সংঘাত ও অশান্তির বীজ বপন করছে। তারা বাংলাদেশকে হিন্দু শুন্য করার পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নেমেছে। তাদের দুরভিসন্ধি হাসিলে হিন্দু আইনের খসড়া তৈরী করে আইন কমিশনে জমা দিয়েছিল। সেখানে ব্যর্থ হয়ে এখন মহামান্য হইকোর্টে রীট দায়ের করেছে। যার নেতৃত্বে আছেন আইন ও শালিশ কেন্দ্র বেশ কয়েকটি এনজিও।
তারা হিন্দু পারিবারিক সম্পত্তি বিভাজন করে ব্যক্তি কেন্দ্রীক সম্পত্তি বন্টন, বিবাহ বিচ্ছেদ, হিন্দু বিবাহ রেজিষ্ট্রেশন বাধ্যতামূলক ও শাস্তির বিধান, দত্তক, ভরন পোষনসহ বিভিন্ন বিষয়ে হিন্দু ধর্ম শাস্ত্রীয় পবিত্র বিধি বিধান পরিবর্তনের চক্রান্ত করছে। তারা এটা বাস্তবায়নের মাধ্যমে বিভেদ ও বিদ্বেষ ছড়িয়ে হিন্দু সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে।হিন্দু আইনের মূল ভিত্তি বেদ। বেদ ঈশ্বরের বাণী।
হিন্দু বিবাহ, উত্তরাধিকার সহ সকল বিধি বিধান বেদ থেকে এসেছে। হিন্দু আইনের উপর হস্থক্ষেপ এর অর্থ সরাসরি হিন্দু ধর্মের উপর হস্তক্ষেপ; যা হিন্দু সমাজ কখনোই মেনে নেবে না। আমরা এই তথাকথিত আইন চাই না আমরা সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন ও সংখ্যালঘু মন্ত্রনালয় চাই।
একুশে সংবাদ/এসএপি