Thursday, January 16, 2025

সপ্তাহে শীর্ষে

প্রাসঙ্গিক বার্তা

হাক্কানি চক্রের তালিবান মন্ত্রী কাবুলে খুন

কাবুলে বুধবার এক বোমা বিস্ফোরণে তালিবানের শরণার্থী ও প্রত্যাবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী খলিল-উর-রহমান এবং অন্তত তাঁর চার জন সহযোগী নিহত হন।

তালিবান সুত্রগুলি বলছে আফগান রাজধানীতে মন্ত্রণালয় ভবনে অপরাহ্নে হাক্কানি যখন তাঁর দপ্তর থেকে বের হচ্ছিলেন তখন এই “আত্মঘাতী” বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। আরও অনেকেই আহত হয়েছেন বলে খবরে বলা হয়েছে।

মন্ত্রীকে হত্যার বিষয়ে কেউ তাৎক্ষণিক ভাবে দায় স্বীকার করেনি । ২০২১ সালের আগস্টে ক্ষমতায় ফিরে আসার পর কট্টরপন্থি তালিবান নেতাদের উপর এটি ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আক্রমণ।

তালিবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ একটি আক্রমণে হাক্কানির “শহীদ” হবার বিষয়টি নিশ্চিত করেন এবং তিনি এর জন্য “খাওয়ারিজ”কে দায়ী করেন। খাওয়ারিজ শব্দটি আফগানিস্তান কেন্দ্রিক ইসলামিক স্টেট সংশ্লিষ্ট ইসলামিক স্টেট খোরাসান বা আইএস-কে ‘কে বোঝাতে ব্যবহার করা হয়।

মুজাহিদ এই ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত আর কিছু জানাননি, তিনি অন্যান্য হতাহত বা আক্রমণের প্রকৃতি সম্পর্কেও কিছু জানাননি।

নিহত মন্ত্রীর দায়িত্ব ছিল আফগান শরণার্থী, বিশেষত যাদের পাকিস্তান এবং ইরান থেকে ফেরত পাঠানো হচ্ছে তাদের প্রত্যাবর্তন ও পুনর্বাসনের বিষয়টি তদারকি করা্।

যুক্তরাষ্ট্রের রিওয়ার্ডস ফর জাস্টিস ওয়েবসাইটে হাক্কানিকে বৈশ্বিক সন্ত্রাসী তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এবং তাকে পেতে সহায়তা করতে পারে এমন তথ্যের জন্য ৫০ লক্ষ ডলার পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে।

রিওয়ার্ডস ফর জাস্টিস সাইট অনুযায়ী “ খলিল তার ভাতিজা, সিরাজুদ্দিন হাক্কানির আদেশ অনুযায়ী তৎপরতা চালায় এবং “ আল ক্বায়দা হয়ে কাজ করে যায় এবং আল ক্বায়দার সন্ত্রাসী তৎপরতার সঙ্গে তারা সম্পৃক্ত।

জ্যেষ্ঠ হাক্কানিকে হাক্কানি চক্রের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেব বিবেচনা করা হয় আর এই হাক্কানি চক্রটিকে যুক্তরাষ্ট্র একটি বিদেশি সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হিসেবে বলে মনে করে । এই সংগঠনের নেতা তারই ভাতিজা সিরাজুদ্দিন হাক্কানি যিনি কার্যত তালিবানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। সন্ত্রাসবাদী কার্যক্রমের জন্য তার মাথার দাম হচ্ছে এক কোটি ডলার।

এ দিকে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার এই আক্রমণের নিন্দা করে বলেন যে আরও বিস্তারিত জানার জন্য তার সরকার কাবুলের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছে।

সূত্র: ভয়েজ অব আমেরিকা

পাঠক প্রিয়