Skip to content

সৌদি আরবের স্কুলেও মহাভারত এবং রামায়ণের পাঠ, আয়ুর্বেদ ও ইংরেজি বাধ্যতামূলক হচ্ছে

দেশে যখন চরম সাম্প্রদায়িক মৌলবাদীরা জাতির পিতার ভাস্কর্যসহ মূর্তি আর ছবিকে ইসলামী সংস্কৃতির পরিপন্থী বলে এগুলোর মূলোৎপাটন করতে বিভিন্ন স্হানে ধর্মপ্রাণ মানুষের অনুভূতিকে উস্কে দিচ্ছে তখন গোটা বিশ্বের মুসলমানদের তীর্থভূমি খোদ সৌদি আরবের পাঠ্যসূচিতে মহাভারত এবং রামায়ণের পাঠ দেয়া হচ্ছে। শুধু হিন্দু ধর্মের বই নয়, সেখানে বৌদ্ধ ধর্ম পড়ানো এবং আয়ুর্বেদ ও ইংরেজি শিক্ষাকেও বাধ্যতামূলক করা হচ্ছ।

গোটা বিশ্বেই প্রাচীন ভারতীয় সংস্কৃতি নিয়ে চর্চা হয়। আধুনিক জীবনযাপনে যোগাভ্যাস বা আয়ুর্বেদের গ্রহণযোগ্যতা আরও বাড়ছে। অনেক দেশের স্কুলে এই বিষয়গুলি পড়ানো হয়। এবার ভারতীয় সংস্কৃতি, ইতিহাস, যোগ বা আয়ুর্বেদ নিয়ে চর্চা হবে সৌদি আরবের স্কুলেও। তেমনই পরিকল্পনা করেছেন সৌদি আরবের প্রিন্স মুহাম্মদ বিন সালমন। খবর সংবাদ প্রতিদিনের।

প্রিন্স মুহাম্মদ বিন সালমনের পরিকল্পনায় স্কুল শিক্ষা পাঠ্যসূচিতে বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হচ্ছে। আর এই পরিকল্পনার নাম দেওয়া হয়েছে ‘ভিশন ২০৩০’। এতে শুধু ভারত নয় বিভিন্ন দেশের ইতিহাস, সংস্কৃতি সম্পর্কে পড়ুয়াদের একটি ধারণা দেওয়া হবে।

পরিকল্পনা অনুযায়ী ইতিমধ্যেই সৌদি আরবের স্কুল পাঠ্যসূচিতে ঢুকেও পড়েছে রামায়ণ এবং মহাভারত। সেই সঙ্গে যোগ এবং আয়ুর্বেদ সম্পর্কেও বেশ কিছু বিষয় পড়ানো হবে। শুধু তাই নয় ভিশন ২০৩০ -এ ইংরেজি ভাষা শিক্ষাও বাধ্যতামূলক করা হয়েছে বলে জানা গেছে। মনে করা হচ্ছে এই পরিকল্পনার হাত ধরে সৌদি আরবের শিক্ষা ব্যবস্থার দৃষ্টিভঙ্গিতে আমূল পরিবর্তন হতে পারে।

স্কুলের বইয়ের পাতার ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেছেন একাধিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারী। সেখানে দেখা যাচ্ছে, বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতি কিভাবে ইতিমধ্যেই ঢুকে পড়েছে সৌদি আরবের পড়ুয়াদের বইপত্রে। সেখানে হিন্দুধর্ম, বৌদ্ধধর্ম, মহাভারত এবং ধর্মের মতো বিষয় অন্তর্ভূক্ত হয়েছে। এক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারী জানিয়েছেন, সৌদি আরবে বসে মেয়েকে এই সব বিষয় পড়াতে পেরে  তিনি বেশ আনন্দই পাচ্ছেন।