“বন্দরের ভিতরের যে সাম্প্রদায়িক শক্তি ঘাপটি মেরে আছে তাদের উৎখাত করতে হবে। কবি সেলিনা শেলীর বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তা প্রত্যাহার করতে হবে।”
সিপিবি জেলা কমিটির সভাপতি অশোক সাহা বলেন, “সাপকে পালন করলে দংশন করবেই। সারাদেশে আজ সেই সাপের বিস্তার। মৌলবাদ দিন দিন বিস্তার পাচ্ছে। আমরা সংখ্যায় কমছি৷ এদেশে নববর্ষ হবে, পাহাড়িদের উৎসব হবে। এজন্যই বাংলাদেশ হয়েছে। পাকিস্তান আর বাংলাদেশ তো এক না। মৌলবাদীদের প্রশ্রয় দিলে দেশ পাকিস্তানের পথেই হাঁটবে।”
বিএফইউজের যুগ্মমহাসচিব মহসীন কাজী বলেন, “বন্দরে দুর্নীতি লুটপাটের নিউজ দেশের বড় গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। তখন সেগুলো ফেসবুকে শেয়ার হয়। সেক্ষেত্রে তাদের কোনো সাড়াশব্দ মেলে না। এখন এত দ্রুত কবি সেলিনা শেলীর বিরুদ্ধে কার ইশারায় ব্যবস্থা নেয়া হলো কোনো তদন্ত ছাড়াই।
“বন্দরের ভিতরে বাইরে জামায়াত শিবির ঘাপটি মেরে আছে। তারাই এসব ঘটাচ্ছে। বন্দরের আদেশেও ভুল আছে। তারা যে অপরাধের দোহাই দিচ্ছে সে অপরাধ তারাই করেছে আদেশে।”
আবৃত্তিশিল্পী রাশেদ হাসানের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, শিক্ষক হোসাইন কবির, নাট্যজন প্রদীপ দেওয়ানজী, কবি রাশেদ রউফ, সাহিত্যিক আলম খোরশেদ, কবি ও সাংবাদিক ওমর কায়সার, কবি অভীক ওসমান, খেলাঘর চট্টগ্রাম মহানগরের সহ-সভাপতি কবি আশীষ সেন, উদীচী চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক অসীম বিকাশ দাশ, সাংস্কৃতিক সংগঠক অধ্যাপিকা শীলা দাশগুপ্ত, বোধন আবৃত্তি পরিষদের সভাপতি প্রণব চৌধুরী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ওমর ফারুক রাসেল, শিল্পী শ্রেয়সী রায় ও লাকী দে, সাংবাদিক সুমি খান, প্রমা আবৃত্তি সংগঠনের সহ সভাপতি কংকন দাশ, আবৃত্তিশিল্পী সুবর্ণা চৌধুরী।
সমাবেশে একাত্মতা প্রকাশ করে বোধন আবৃত্তি পরিষদ, প্রমা আবৃত্তি শিল্পীগোষ্ঠী, অদিতি সঙ্গীত নিকেতন, ছাত্র ইউনিয়ন, সুচয়ন ললিতকলা কেন্দ্র, নরেন আবৃত্তি একাডেমি, খেলাঘর চট্টগ্রাম মহানগরী, খেলাঘর চট্টগ্রাম মহানগর, যুব ইউনিয়ন এবং উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীসহ আরও বিভিন্ন সংগঠন।
আরও পড়ুন