আজ শনিবার (১০ জুলাই) দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম এ কথা জানান।
পুলিশ সুপার (এসপি) বলেন, একইদিনে সজীব গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবুল হাসেম ও এমডিসহ আটজনকে আটক করা হয়।
এদিকে অবহেলাজনিত ভুল হলেও দায়ী কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলে দুপুরে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
প্রত্যক্ষদর্শী ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে, কারখানার নিচতলায় থাকা প্যাকেজিং মেশিনের স্পার্ক থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে। এরপর অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল কাগজের মাধ্যমে আগুন ভয়াবহ আকার ধারণ করে। উপরের ফ্লোরগুলোতে অতিরিক্ত মাত্রায় দাহ্য পদার্থ প্লাস্টিক, ঘি ও জুসের প্যাকেটসহ অন্যান্য কাঁচামাল থাকায় আগুন বাতাসের সঙ্গে ছড়াতে থাকে। ফলে ফায়ার সার্ভিস শুরু থেকে চেষ্টা করলেও কিছুতেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে হাসেম ফুড এন্ড বেভারেজের ফ্যাক্টরিতে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডে আজ দুপুর পর্যন্ত ৫২ জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। আজ শনিবারও কারখানাটির ভেতরে ধোঁয়া উড়তে দেখো গেছে।
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে কারখানায় ৩৯ ঘণ্টা পর্যন্ত আগুনে মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ হওয়ার কারণ খতিয়ে দেখছে একাধিক সংস্থা। এরই মধ্যে কারখানার ভেতরকার কলাপসিবল গেট বন্ধ, জরুরি বহির্গমন সিঁড়ি না থাকা, কারখানার নিজস্ব অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা না থাকা এবং প্রচুর দাহ্য পদার্থ থাকাকে চিহ্নিত করেছে ফায়ার সার্ভিস। আগুনে পুড়ে কয়লা হওয়ায় ৫২টি মরদেহ চেনার সুযোগ নেই। ডিএনএ টেস্ট ছাড়া শনাক্ত করা যাবে না মৃতদেহ। সজীব গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান হাসেম ফুড এন্ড বেভারেজের ফুডস্ ফ্যাক্টরিতে ভয়াবহ আগুনের ঘটনায় প্রাথমিকভাবে নিহতদের ২৫ হাজার ও আহতদের ১০ হাজার টাকা করে দেয়ার কথা জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শামীম বেপারী। শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুন্নুজান সুফিয়ান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নিহতদের পরিবারকে ২ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ এবং আহতদেরকে ৫০ হাজার টাকা করে চিকিৎসা সহায়তা দেওয়ার ঘোষনা দিয়েছেন।