Skip to content

সীমান্তে ৫০ বছর পর ৭৫ শতাংশ জমি পেল বাংলাদেশ

সীমান্তে ৫০ বছর পর ৭৫ শতাংশ জমি পেল বাংলাদেশ


প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০০৮ সালের নির্বাচন নিয়ে কেউ প্রশ্ন তোলেনি। ওই নির্বাচনে বিএনপি পেয়েছিল ২৯ আসন। বিএনপি এখনও তাদের আগের অবস্থানে অটল রয়েছে। অথচ দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করে আওয়ামী লীগ তার অবস্থানকে আরও এগিয়ে নিয়ে গেছে।’

প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে ষড়যন্ত্র চালানো হচ্ছে। অনেকেই এমন গতিতে একটি দেশের অগ্রগতি চায় না। তাই তারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কাজ করছে। আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে যে কোনো ধরনের দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের বিষয়ে নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকতে হবে।’

আওয়ামী লীগের সারা দেশের জেলা শাখার নেতা-কর্মীরা বুধবার গণভবনে দেখা করতে গেলে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

এ সময় সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন শেখ হাসিনা।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘সরকার ২০০৯ সাল থেকে টানা তিন মেয়াদে দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ সরকারের কঠোর পরিশ্রমের কারণে দারিদ্র্যের হার ২০০৬ সালের ৪১ শতাংশ থেকে ২০২৩ সালে ১৮ দশমিক ৭ শতাংশে নেমে এসেছে এবং অতি-দরিদ্রের হার ২৫ শতাংশ থেকে ৫ দশমিক ৬ শতাংশে নেমে এসেছে।

‘সরকার দ্রুততম সময়ে দারিদ্র্যের হার আরও দুই বা তিন শতাংশ কমিয়ে আনার প্রচেষ্টাকে আরও গতিশীল করবে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়। সরকার বিনা খরচে বাড়ি প্রদান, স্বাস্থ্যসেবা পরিষেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়া এবং দেশবাসীর অবস্থার পরিবর্তনের জন্য শিক্ষার হার বৃদ্ধিসহ সবকিছুই করছে। বাংলাদেশে কোনো অতি-দারিদ্র্য থাকবে না।’

জাতীয় নির্বাচন দরজায় কড়া নাড়ছে উল্লেখ করে তিনি আওয়ামী লীগকে আরও শক্তিশালী করে জনগণের কল্যাণে আরও সম্মিলিতভাবে কাজ করার জন্য দলের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ স্বাধীন করেছেন। তাই আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে দেশের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা চাই আওয়ামী লীগ সংগঠনিকভাবে আরও শক্তিশালী হোক।’

আওয়ামী লীগ সভাপতি দলীয় নেতা কর্মীদের উদ্দেশ করে বলেন, ‘দেশ ও জনগণের কল্যাণে নিজেদের উৎসর্গ করতে হবে। কারণ বিএনপি ও জাতীয় পার্টির মতো রাজনৈতিক দলগুলো সামরিক স্বৈরশাসকের পকেট থেকে গঠিত হয়েছিল। বিএনপি ও জাতীয় পার্টির মতো দল মাটি ও মানুষের দল নয়।’

গত ১৪ বছরে দেশের সার্বিক উন্নয়নের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘অবকাঠামোগত উন্নয়ন, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা ও বাসস্থানের মতো প্রতিটি খাতে বাংলাদেশ ব্যাপক উন্নয়ন প্রত্যক্ষ করেছে।’

বিএনপি ও সমমনাদের কঠোর সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তারা কোনো উন্নয়ন দেখছে না। তারা প্রতিদিনই এমনকি রমজানের দিনেও উচ্চকণ্ঠে মিথ্যা কথা বলছে। কেন তারা এমন করছে আমি তা বুঝতে পারছি না।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘সরকার জনগণের জন্য কাজ করেছে। আর এ কারণেই জনগণ আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছে। আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য কোনো ভোট কারচুপির প্রয়োজন নেই। কারণ তারা সবসময় জনগণের সেবা করে তাদের আস্থা অর্জন করে ক্ষমতায় আসে। আওয়ামী লীগ কখনোই ভোট ছাড়া ক্ষমতায় আসে না।

‘যারা নির্বাচন নিয়ে কথা বলছে, তারা বন্দুকের মুখে ক্ষমতায় এসেছে। তাই জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। ২০০৮ সালের নির্বাচন নিয়ে কেউ প্রশ্ন তোলেনি। ওই নির্বাচনে বিএনপি পেয়েছিল ২৯ আসন।

‘বিএনপি এখনও তাদের আগের অবস্থানে অটল রয়েছে। অথচ দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করে আওয়ামী লীগ তার অবস্থানকে আরও এগিয়ে নিয়ে গেছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের ভয়াল রাতে বাবা-মা, ভাইসহ সর্বস্ব হারানোর পর দেশবাসীকে নিজের কাছের মানুষ ভেবে তাদের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। বাংলাদেশের জনগণই আমার পরিবার। আমি যা কিছু করেছি তা মানুষের জন্য করেছি।’

সবকিছু হারিয়ে দেশে ফিরে আসার পর আশ্রয় দেয়ায় প্রধানমন্ত্রী দেশবাসী ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, ‘আপনারা (দলের লোকজন) আমার পাশে থাকলে জনগণের জন্য কাজ করতে পারব।’

আরও পড়ুন:
জনস্বাস্থ্যে জাফরুল্লাহর অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে: প্রধানমন্ত্রী
নীল অর্থনীতির সম্ভাবনা কাজে লাগাতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ
৪ দিনের সফরে জাপান যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
যুক্তরাষ্ট্র চাইলে যেকোনো দেশের ক্ষমতা উল্টাতে-পাল্টাতে পারে: প্রধানমন্ত্রী
প্রথম আলো দেশ গণতন্ত্র ও আওয়ামী লীগের শত্রু: প্রধানমন্ত্রী



বার্তা সূত্র