Skip to content

সিলেটে বিএনপির কর্মী ও পুলিশের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া—পুলিশের ফাঁকা গুলি, আটক ৩

সিলেটে বিএনপির কর্মী ও পুলিশের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া—পুলিশের ফাঁকা গুলি, আটক ৩

সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার ঠিক আগ মূহূর্তে সিলেট নগরের জিন্দাবাজার এলাকায় মশাল মিছিল বের করে বিরোধী রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) কর্মীরা। এ সময় পুলিশ তাদের ধাওয়া করলে উত্তেজনা দেখা দেয়।

বিএনপি কর্মীরা সড়কে মশাল ফেলে আগুন জ্বালিয়ে যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। পরে তিনজনকে আটক করে পুলিশ।

বুধবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় আতংকে দোকানপাট বন্ধ করে দেন ব্যবসায়ীরা।

সিলেট কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী মাহমুদ বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিঘ্ন ঘটাতে একদল লোক মশাল মিছিল বের করে আংতকের সৃষ্টি করে। পুলিশ জানমালের নিরাপত্তায় তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এসময় দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে পুলিশ।

তিনি আরও বলেন, বিএনপির মিছিল থেকে একজনকে ও পরে সন্দেহভাজন আরও দুজনকে আটক করা হয়েছে। যেকোনো ধরনের নাশকতা প্রতিরোধে পুলিশ সতর্ক রয়েছে।

বগুড়ায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কর্মীদের সংঘর্ষে পুলিশের ওসিসহ আহত ৩১

বিএনপি ও সমমনা বিরোধীদলের ডাকা দুই দিনের অবরোধ চলাকালে বগুড়ার শেরপুরে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পুলিশ টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষে পুলিশের ওসিসহ অন্তত ৩১ জন আহত হয়েছেন।

বিএনপি ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের ওসিসহ অন্তত ৩১ জন আহত। ১৫ নভেম্বর, ২০২৩।

বুধবার (১৫ নভেম্বর) দুপুর পৌনে ১২টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত এ সংঘর্ষ চলে। এই সংঘর্ষে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের ৪ জনকে চিকিৎসার জন্য স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অবরোধের সমর্থনে বিএনপির বগুড়া জেলা শাখার সাবেক আহ্বায়ক ও স্থানীয় সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মোহাম্মদ সিরাজের নেতৃত্বে দুপুর পৌনে ১২টার দিকে বিএনপির শেরপুর উপজেলা শাখার পক্ষ থেকে শেরপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে একটি মিছিল বের হয়।

মিছিলটি এগিয়ে যাওয়ার সময় পেছনে আওয়ামী লীগের উপজেলা কমিটির সহসভাপতি শাহ জামাল সিরাজীর নেতৃত্বে অবরোধবিরোধী অপর একটি মিছিল থেকে প্রথমে ধাওয়া দেওয়া হয়। এক পর্যায়ে দুইপক্ষ ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। এর পরই দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং সংঘর্ষ বাধে।

এ সময় মহাসড়কের আশপাশের বেশ কিছু দোকানে ভাঙচুর করা হয়। পরে পুলিশ টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছুঁড়ে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ ঘটনার পর বিএনপির শেরপুর উপজেলা শাখার সভাপতি শহিদুল ইসলাম বাবলু দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, তাদের মিছিলে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বিনা উসকানিতে হামলা চালায়। এতে বিএনপির ১৫ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।

এদিকে আওয়ামী লীগের শেরপুর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সুলতান মাহমুদ বলেন, আমাদের দলের নেতা-কর্মীরা শান্তির পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন। কিন্তু বিএনপি নেতা-কর্মীরা ইট-পাটকেল এবং ককটেল নিয়ে আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। তাদের হামলায় আমাদের দলের ১১ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।

শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবু কুমার সাহা সাংবাদিকদের জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গেলে অবরোধ সমর্থকদের নিক্ষেপ করা ইট-পাটকেলের আঘাতে তিনিসহ পুলিশ বাহিনীর ৫ সদস্য আহত হয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি পুরোপুরি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে।

সূত্র: ভয়েজ অব আমেরিকা