Skip to content

সিলেটের জৈন্তাপুরে পাথর উত্তোলন: বিস্তীর্ণ এলাকায় পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা

সিলেটের জৈন্তাপুরে পাথর উত্তোলন: বিস্তীর্ণ এলাকায় পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা

বাংলাদেশর সিলেট জেলার জৈন্তাপুর-সহ সীমান্তবর্তী বিভিন্ন স্থান থেকে পাথর আহরণ বেআইনি। তারপরও একটি চক্রের সদস্যরা দিনরাত পাথর উত্তোলন অব্যাহত রেখেছে। জৈন্তাপুর উপজেলার নিজপাট ইউনিয়নের গোয়াবাড়ীর আশ্রায়ণ প্রকল্পসহ আশপাশের পাহাড় ও টিলা কেটে চলছে বেআইনি পাথর উত্তোলন। উপজেলা প্রশাসন অভিযান পরিচালনা করলেও এই চক্রকে থামানো যাচ্ছে না। ফলে পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকায়।

জৈন্তাপুর উপজেলা গোয়াবাড়ী ঘুরে দেখা গেছে, নতুন মুজিববর্ষের ঘর এলাকা, পুরাতন আশ্রয়ণ প্রকল্প এবং গোয়াবাড়ীর বিভিন্ন ছোট বড় টিলা কেটে চক্রের সদস্যরা দিন রাত পাথর উত্তোলন করছে। এলাকার বাসিন্দা রুবেল আহমদ, সেলিম আহমদ, বদর মিয়া, কামাল মিয়াসহ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই জানান, “মানুষের কাজ কর্ম না থাকায়, গোয়াবাড়ী থেকে পাথর উত্তোলন করে জীবিকা নির্বাহের চেষ্টা করছে তারা। মানুষকে আগে বাঁচার সুযোগ করে দিন। তারপর পরিবেশ নিয়ে কথা বলুন।”

তারা আরো বলেন, “শ্রীপুর কোয়ারী কাগজে কলমে বন্ধ থাকলেও সেখানে পাথর উঠছে। আপনারা সেখানে গিয়ে যত পারেন লেখালেখি করেন।” তারা অভিযোগ করেন, “আমরা জানি সেখানে বড় বড় ব্যক্তি পাথর উত্তোলন করছে, শ্রীপুর নিয়ে আপনারা লিখবেন না। তাই, গোয়াবাড়ী নিয়ে লিখে অযথা মানুষকে হয়রানি করবেন না।”

গোয়াবাড়ী এলাকার কোনো প্রকার ছবি তুলতে বা ভিডিও ধারণ না করতে সাংবাদিকদের নিষেধ করেন এলাকাবসী।

এলাকার বাসিন্দা নাজমুল ইসলাম, হাসান মোহাম্মদ বদরুল, আমিনুর রহমান, সাব্বির আহমদ বলেন, “অপরিকল্পিতভাবে গোয়াবাড়ী থেকে যেভাবে পাথর উত্তোলন করা হচ্ছে, তাতে উপজেলা বড় বিপর্যয়ের আশঙ্কায় রয়েছে। এখনই সময় পাথর উত্তোলন সঠিকভাবে বন্ধ করা, না হলে পরিবেশের বড় বিপর্যয় নেমে আসবে। অনাগত বিপর্যয়ের জন্য সকলকে প্রস্তুত থাকতে হবে।”

সহকারি কমিশনার রিপামনী দেবী বলেন, “আমি দু’দিন আগেও অভিযান পরিচালনা করে উত্তোলিত পাথর নিলামে বিক্রয় করেছি। পাথর উত্তোলন নিয়ে উপজেলা প্রশাসন জিরো টলারেন্স নীতিতে রয়েছে। পুনরায় অভিযান পরিচালনা করা হবে।”

জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল-বশিরুল ইসলাম বলেন, “উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে দিনরাত অভিযান পরিচালনা করে জরিমানা করা হচ্ছে। অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”

সূত্র: ভয়েজ অব আমেরিকা