Skip to content

সাগরের মাঝে দাঁড়িয়ে সিংহ! সিনেমা নয়, একেবারে বাস্তব দৃশ্য, কী হল তার পর

বিষয়সূচি

সাগরের তীরে দাঁড়িয়ে সিংহ! ঢেউ এসে ভিজিয়ে দিয়ে যাচ্ছে তাকে। সেও তার স্বাভবসুলভ ভারিক্কি চালে উপভোগ করছে সমুদ্রের আবহাওয়া। দৃশ্যটা কল্পনা করা খুব কঠিন হয়তো নয়। যারা নার্নিয়া সিরিজ দেখেছেন, তাঁদের কাছে হয়তো অনেকটাই সহজ। কিন্তু বাস্তবে এমন ঘটনা ঘটেছে, ভাবা কঠিন। তবে ঘটেছে। সম্প্রতি গুজরাটের সমুদ্রতটে দেখা গিয়েছে এই দৃশ্য। আর তাঁকেই ক্যামেরাবন্দী করেছে কোনও এক ব্যক্তি। ইন্ডিয়ান ফরেস্ট অফিসার (আইএফএস) পারভিন কাসওয়ানের সমাজ মাধ্যমের পোস্টে দেখা গিয়েছে সেই ছবি।

(আরও পড়ুন: আজীবন রবীন্দ্রসঙ্গীত এড়িয়ে চলেছেন এসডি বর্মণ, নেপথ্যের কারণ ছিল গভীর বঞ্চনা)

সম্প্রতি সমাজ মাধ‌্যমে তিনি একটি ছবি শেয়ার করেছেন। সেই ছবিতেই দেখা যায় আরব সাগরের তীরে দাঁড়িয়ে থাকা কেশরীকে। ঠিক এমনই একটি দৃশ্য ছিল ফ্যান্টাসি সিরিজ ‘দ্য ক্রনিকলস অব নার্নিয়া’তে। ওই সিরিজের দ্য লায়ন, দ্য উইচ ও দ্য ওয়ার্ডরোবে দেখা গিয়েছিল দৃশ্যটি। দৃশ্যটির কথা অবশ্য মনে করিয়ে দিয়েছিলেন বনদফতর কর্তা পারভিন কাসওয়ান নিজেই। ছবিটির শেষ দৃশ্যে আসলান নামের সিংহটিকে দেখা যায় সমুদ্রতটে দাঁড়িয়ে থাকতে। সেই দৃশ্যেরই যেন পুনরাবৃত্তি হল গুজরাটের সমুদ্রতটে। নিজের এক্স (আগে যা টুইটার ছিল) এই পোস্ট করেন পারভিন। ছবিটির সৌজন্যে লেখা ছিল সিসিএফ, জুনাগড়।

 

(আরও পড়ুন: যতই সবজি হোক, এটি বেশি খেলেই অকেজো হবে লিভার, সাবধান হন আজই)

এক্স হ্যান্ডেলে পোস্টটি করার পর দ্রুত তা ভাইরাল হতে থাকে। নানারকম কমেন্টে ভরে ওঠে পোস্টটির কমেন্ট সেকশন । এমন বিরল দৃশ্যের ছবি তোলার জন্য ছবিগ্ৰাহককেও ধন্যবাদ জানান অনেকে। এক নেটিজেন লেখেন এই দৃশ্য দেখা মাত্রই চলচ্চিত্রের কথাই মনে পড়েছিল তাঁর । পরে অবশ্য ক্যাপশনে পড়ে তাঁর ভুল ভাঙে।

পোস্টটি ভাইরাল হওয়ায় নিজে থেকেই আরেকটি তথ্য জানান পারভিন কাসওয়ান। সমুদ্রতটে এশিয়ার প্রচুর সিংহ বসবাস করে। এই নিয়ে বিখ্যাত নেচার পত্রিকায় একটি গবেষণাপত্রও প্রকাশিত হয়েছে।‌ মোহন রাম ও অন্যান্য গবেষকদের সেই গবেষণাপত্র আরেকটি পোস্ট শেয়ার করেন পারভিন কাসওয়ান। আগের পোস্টটির মতো সেটিও যথারীতি ভাইরাল হয়। লাইকের পাশাপাশি কমেন্ট সেকশনও নেটিজেনরা ধন্যবাদ জানান এমন পোস্টের জন্য। গুজরাটের ঠিক কোন কোন উপকূল এলাকায় সিংহের বসতি রয়েছে তা ওই পোস্টে চিহ্নিত করে দেওয়া হয়।

বার্তা সূত্র