দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি ও আওয়ামী সরকারের সাবেক মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু কুষ্টিয়ার আদালতে হাজিরা দিয়েছেন।
রবিবার (৯ মার্চ) কুষ্টিয়া সদর আমলি আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা সুলতানার আদালতে তাকে হাজির করা হলে তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
কড়া নিরাপত্তায় তাকে আদালতে হাজির করা হয় ও আদালত থেকে কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে শনিবার বিকাল ৪টার দিকে কাশিমপুর কারাগার থেকে কুষ্টিয়া কারাগারে আনা হয় সাবেক মন্ত্রী হাসানুল হক ইনুকে। তাকে দেখতে আদালতে জাসদের শতাধিক নেতাকর্মীরা উপস্থিত হন। আদালতে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। তিনি মামলার এজাহারভুক্ত চার নম্বর আসামি। এখন পর্যন্ত এ মামলার মোট চার আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বাকিরা পলাতক রয়েছেন।
এ তথ্য নিশ্চিত করে ওই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) সাইমুম হাসান বলেন, “মাহমুদুর রহমান হত্যাচেষ্টা মামলায় ইনুকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত এ মামলার চার আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তার করতে কাজ করছে পুলিশ।”
কুষ্টিয়া আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) খন্দকার সিরাজুল ইসলাম বলেন, “মাহমুদুর রহমানকে হত্যার চেষ্টা মামলায় হাজিরা দিতে আনা হয়েছিল ইনুকে। বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে কুষ্টিয়া কারাগারে পাঠানো হয়েছে।”
এর আগে ২০২৪ সালের ১০ অক্টোবর মাহমুদুর রহমান বাদী হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন। আলোচিত এই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, আওয়ামী লীগ নেতা মাহবুবুল আলম হানিফ, সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, তৎকালীন পুলিশের মহাপরিদর্শক জাবেদ পাটোয়ারী, কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার মেহেদী হাসান ও কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিনসহ ৪৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২০-৩০ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ করা হয়।