সংলাপের আমন্ত্রণ জানিয়ে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপিকে চিঠি দিয়েছিলো বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন। সেই আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছে বিএনপি। শনিবার (২৫ মার্চ) স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে রাজধানী ঢাকার মহানগর নাট্যমঞ্চে বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় দেয়া বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঐ আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেন।
গত বৃহস্পতিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল, আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে মতবিনিময় সভায় অংশ নিতে বিএনপি মহাসচিবকে একটি সেমি-অফিসিয়াল চিঠি পাঠান। হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বে বর্তমান নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয় গত বছর। এই কমিশন গঠনের পর থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দুই দফা সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিএনপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল সেই আলোচনায় অংশ নেয়নি।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “বিএনপিকে সংলাপের আমন্ত্রণ জানিয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দেয়া চিঠি, জনগণকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করে আরেকটি নির্বাচন করার সরকারের সর্বশেষ কৌশল ছাড়া আর কিছুই নয়।”
তিনি বলেন, “অতীতে কেউ কি ভোট দিতে পারতেন? তারা (সরকার) আবার সেই কাজ শুরু করতে যাচ্ছে। এবার অনেক চাপ আছে, কারণ বিদেশিরা বলছে আগের মতো ভোট হলে এবার গ্রহণযোগ্য হবে না…তাই তারা নতুন কৌশল নিচ্ছে। সর্বশেষ কৌশলের অংশ হিসেবে নির্বাচন কমিশন আমাদের একটি চিঠি পাঠিয়েছে।সোমবার (২৭ মার্চ) স্থায়ী কমিটির বৈঠকে ইসির চিঠির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।”
একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে, প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা না থাকায়, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের আলোচনার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মির্জা ফখরুল। প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্য কমিশনারদের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, “আপনারা (নির্বাচন কমিশন) কেন এমন চিঠি পাঠিয়ে অস্থির হচ্ছেন? আপনারা ভদ্র মানুষের মতো জীবনযাপন করুন এবং বেতন নেন।”
বিএনপি মহাসচিব বলেন, “ভোটের সময় আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভাবে নির্বাচন হবে না। শুধু জাতীয় নির্বাচন নয়, স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও তা ইতোমধ্যেই প্রমাণিত হয়েছে। তাই অযথা এই চর্চা (আলোচনা করা) না করে আসল কথায় আসুন। আসল কথা হলো নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার বহাল থাকতে হবে।”
“নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন না হলে, দেশের মানুষ তা মেনে নেবে না; বলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।