Skip to content

সংঘর্ষ ও আগুন দেয়ার অভিযোগে ৭০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান

সংঘর্ষ ও আগুন দেয়ার অভিযোগে ৭০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান

বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন বলেছেন, “শনিবার (২৯ জুলাই) রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন স্থানে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ ও গাড়িতে আগুন দেয়ার অভিযোগে ৭০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

রবিবার (৩০ জুলাই) সচিবালয়ে যুক্তরাষ্ট্রের টেনেট ফিন্যান্স ইন্টারন্যাশনাল গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও নির্বাচন বিষয়ক পর্যবেক্ষক, টেরি এল ইসলের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন-এর সঙ্গে বৈঠক করে। বৈঠক শেষে এ কথা জানান তিনি।

বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “সব জায়গায় আমাদের সিসি ক্যামেরা রয়েছে। আমরা এগুলোর সাহায্য নিচ্ছি। অনেক সময় পুলিশের নজর এড়িয়ে গেলেও, জনগণ তাদের ধরে আমাদের সামনে আনছে। আমরা কাউকে ছাড় দিচ্ছি না।”

বৈঠকে প্রতিনিধি দল নির্বাচনের প্রস্তুতির বিষয়ে জানতে চেয়েছে বলে জানান তিনি। আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ এসেছে। কেউ এখানে সহিংসতা করলে, এদেশের জনগণ তা সহ্য করবে না।সহিংসতা জনগণের কাম্য নয়।”

এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “যারা (বাসে) আগুন ধরাতে গিয়েছিল, তাদের আমরা হাতেনাতে ধরেছি। পুলিশ দক্ষ ও পেশাদার। পুলিশের সঙ্গে আনসার বাহিনী তৈরি আছে। তাদের সংখ্যা যথেষ্ট। পাশাপাশি আমাদের বিজিবি ও কোস্টগার্ড রয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, বিএনপি ২০১৪-১৫ সালে মানুষ গাড়ি-ঘোড়া, গরু-ছাগল, বাড়িঘর পুড়িয়ে জনবিচ্ছিন্ন হয়েছে। এই কাজটি যদি তারা আবারও করে, তবে জনবিচ্ছিন্ন হবে। দেশের জনগণ আর কোনোদিন তাদের সমর্থন করবে না।

আরেক প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খান বলেন, আমেরিকার ভিসানীতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট বলে দিয়েছেন, আর আমাদের কিছু বলার নেই।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাদার অব হিউম্যানিটি। বিএনপির দুই নেতা যখন গতকাল পড়ে গিয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রী খোঁজখবর নিয়েছেন তাদের চিকিৎসার। আমরা তাদের অ্যারেস্ট করিনি, সুস্থ হওয়ার পর তাই তারা বাড়িতে চলে গেছেন।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচন সামনে রেখে আমাদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কী কী প্রস্তুতি রয়েছে এই বিষয়ে তারা জানতে চেয়েছে। আমরা তাদের জানিয়েছি, নির্বাচনের সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোনো ভূমিকা থাকবে না। মুখ্য ভূমিকায় থাকবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকবে।

সূত্র: ভয়েজ অব আমেরিকা