ফাইল ছবি
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের বলেছেন, দেশের ক্ষমতা এখন এক ব্যক্তির হাতে। দেশে গণতন্ত্র নেই বলেই কোথাও জবাবদিহিতা নাই। ফলে মানুষের কোনও অধিকার আশা করা যায় না। আর এখন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতনের সঙ্গে ক্ষমতাসীনরা জড়িত। তাই নির্যাতিত সংখ্যালঘুরা সঠিক বিচারও পায় না। তাদের জমি ও সম্পদ দখলের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতারাই জড়িত। ফলে দেবোত্তর সম্পত্তি আইন পাস করছে না সরকার। বর্তমান সরকার দেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করেছে।
শনিবার (৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদ নেতারা জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এসময় তিনি এসব কথা বলেন।
জিএম কাদের বলেন, জাতীয় সংখ্যালঘু, পার্বত্য ভূমি কমিশন গঠন, সুরক্ষা, বৈষম্য বিলোপ ও দেবোত্তর সম্পত্তি আইন প্রণয়ন, পার্বত্য শান্তি চুক্তি এবং অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইনের বাস্তবায়ন দাবিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করছেন হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের নেতারা। এরই অংশ হিসেবে এ সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানাদাশ গুপ্ত বলেন, নির্বাচন এলেই ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ে এক ধরনের আতঙ্ক বিরাজ করে। সম্প্রতি আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন; সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা হতে পারে। এর কয়েকদিন পর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা করে বিএনপির ওপর দোষারোপ করতে পারে। এমন বাস্তবতায় সংখ্যালঘুদের মাঝে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি ড. নিমচন্দ্র ভৌমিক, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মিলন কান্তি দত্ত ও রঞ্জন কর্মকার, জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের প্রেস অ্যান্ড পলিটিক্যাল সেক্রেটারি এবং প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভরায়সহ অনেকে।
