Skip to content

শুরু হয়েছে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সবচেয়ে বড় উৎসব বৈসাবি

শুরু হয়েছে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সবচেয়ে বড় উৎসব বৈসাবি

মারমা সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় উৎসব সাংগ্রাই। এই উৎসবের মাধ্যমে পুরনো বছরকে বিদায় আর নতুন বছরকে স্বাগত জানায় মারমারা। এ উপলক্ষে বান্দরবা‌নে নাইক্ষ্যংছড়িতে বইছে উৎসবের আমেজ। এই উৎসবকে কেন্দ্র করে নতুন পোশাকসহ নানা কেনাকাটা, ঘরবাড়ি সাজসজ্জার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সদস্যরা।

এদিকে সাংগ্রাই উপলক্ষে পার্বত্য অঞ্চলের মার্কেটগুলোতে দূর-দূরান্ত থেকে পাহাড়ি নারী-পুরুষ এসে বার্মিজ থামি, চন্দন এবং কসমেটিকস কিনে নিয়ে যাচ্ছে। এবার বিক্রি ভালো হওয়ায় ব্যবসায়ীরাও অনেক খুশি।


জানা যায়, পার্বত্য অঞ্চলে বসবাসরত ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর লোকেরা বছরের শেষ দিন এবং নতুন বছরের প্রথম ৩ দিন নানা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিদায় বছরের সকল পাপাচার, গ্লানি ধুয়ে-মুছে দিতে এবং নতুন বছরকে বরণ করে নিতে যুগ যুগ ধরে ‘বৈসাবি’ উৎসব পালন করে আসছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রধান তিনটি পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর বর্ষবরণ উৎসব ‘বৈসাবি’। প্রতিবছর চৈত্র সংক্রান্তি ও বাংলা বর্ষবরণ উপলক্ষে ত্রিপুরা সম্প্রদায় ‘বৈসুক’, মারমারা ‘সাংগ্রাই’ এবং চাকমা ও তঞ্চঙ্গ্যারা ‘বিজু’ উৎসব পালন করে। তিন উৎসবের আদ্যক্ষর নিয়ে এই উৎসবকে বলা হয় ‘বৈসাবি’।



সাংগ্রাই অনুষ্ঠান আয়োজক কমিটির সদস্যরা জানায়, আগামী ১৩ থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় ৩ দিনব্যাপী আয়োজন করা হয়েছে মারমাদের সাংগ্রাই অনুষ্ঠান। বুধবার (১২ এপ্রিল) সকালে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এ উৎসবকে স্বাগত জানাতে খুবই ব্যস্ত সময় পার করছে উপজেলার বসবাসরত ১১টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায়ের মানুষ।



সাংগ্রাই উৎসব উদযাপন কমিটির সভাপতি ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মংলাওয়াই মারমা বলেন, তিন দিনব্যাপী সাংগ্রাই উৎসবে বাঁকখালী নদীতে বুদ্ধ স্নান, সমবেত প্রার্থনা, জলকেলি, পিঠা তৈরি, হাজারো প্রদীপ প্রজ্বলন, বয়স্ক পূজা এবং সম্প্রদায়গুলোর নিজস্ব ঐতিহ্যবাহী নৃত্য, গানসহ নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন হয়ে থাকে। তবে এবার মাহে রমজান ও অন্যান্য ধর্মের প্রতি সম্মান রেখে আমরা কর্মসূচি গ্রহণ করেছি।



বান্দরবানের পুলিশ সুপার মো. তারিকুল ইসলাম বলেন, উৎসবকে কেন্দ্র করে প্রতিটি স্থানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। সাদা পোশাকেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন। সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে যেন অনুষ্ঠান পালন করতে পারে সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।



বার্তা সূত্র