Skip to content

শিক্ষা: “যার যত জ্ঞান ; তার অহংকার তত কম”

তাঁর নাম শ্রীকান্ত জিচকার। সত্যিকারের জ্ঞানপিপাসু মানুষ। ভারতের এই নাগরিকের পদচারণ চিকিৎসাবিজ্ঞান, আইন, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, ব্যবসায় প্রশাসন, সাংবাদিকতাসহ নানা বিষয়ে। শিক্ষাজীবনে ২০টি ডিগ্রি জমা পড়েছে তাঁর ঝুলিতে। এসবের মধ্যে ১১টি স্নাতকোত্তর ডিগ্রি। এই অনবদ্য কৃতিত্বের মালিক হিসেবে শ্রীকান্ত জিচকারের নাম উঠেছে ভারতের রেকর্ড বুক লিমকা বুক অব রেকর্ডসের পাতায়।
শ্রীকান্ত জিচকারের জন্ম মহারাষ্ট্রের নাগপুরে, ১৯৫৪ সালে। ১৯৭৩ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত শ্রীকান্ত জিচকার মোট ৪২টি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। প্রতিটিতেই রেখেছেন সাফল্যের ছাপ। ১৯৮০ সালে এই তুখোড় মেধাবী ইন্ডিয়ান অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস থেকে পদত্যাগ করে যোগ দেন রাজনীতিতে। রাজ্যসভার সদস্য (এমএলএ) হিসেবে নির্বাচিত হন। সে সময় তিনি ছিলেন সর্বকনিষ্ঠ এমএলএ। পরবর্তী সময়ে রাজ্য সরকারের অত্যন্ত প্রভাবশালী মন্ত্রী হয়ে ওঠেন তিনি। একটা সময় একই সঙ্গে ১৪টি মন্ত্রনালয়ের দায়িত্বে ছিলেন শ্রীকান্ত জিচকার।
২০০৪ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় তাঁর মৃত্যু হয়। ক্ষণজন্মা এই ভারতীয় রাজনীতিকের জ্ঞান-বিজ্ঞানের প্রতি আকর্ষণের প্রমাণ মেলে তাঁর পাঠাগারে সংগ্রহে থাকা বইয়ের সংখ্যা থেকেও। তাঁর ব্যক্তিগত গ্রন্থাগারে প্রায় ৫২ হাজার বইয়ের খোঁজ পাওয়া যায়।
সূত্র: ইন্ডিয়া টাইমস ডটকম

তাঁর নাম শ্রীকান্ত জিচকার। সত্যিকারের জ্ঞানপিপাসু মানুষ। ভারতের এই নাগরিকের পদচারণ চিকিৎসাবিজ্ঞান, আইন, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, ব্যবসায় প্রশাসন, সাংবাদিকতাসহ নানা বিষয়ে। শিক্ষাজীবনে ২০টি ডিগ্রি জমা পড়েছে তাঁর ঝুলিতে। এসবের মধ্যে ১১টি স্নাতকোত্তর ডিগ্রি। এই অনবদ্য কৃতিত্বের মালিক হিসেবে শ্রীকান্ত জিচকারের নাম উঠেছে ভারতের রেকর্ড বুক লিমকা বুক অব রেকর্ডসের পাতায়।
শ্রীকান্ত জিচকারের জন্ম মহারাষ্ট্রের নাগপুরে, ১৯৫৪ সালে। ১৯৭৩ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত শ্রীকান্ত জিচকার মোট ৪২টি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। প্রতিটিতেই রেখেছেন সাফল্যের ছাপ। ১৯৮০ সালে এই তুখোড় মেধাবী ইন্ডিয়ান অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস থেকে পদত্যাগ করে যোগ দেন রাজনীতিতে। রাজ্যসভার সদস্য (এমএলএ) হিসেবে নির্বাচিত হন। সে সময় তিনি ছিলেন সর্বকনিষ্ঠ এমএলএ। পরবর্তী সময়ে রাজ্য সরকারের অত্যন্ত প্রভাবশালী মন্ত্রী হয়ে ওঠেন তিনি। একটা সময় একই সঙ্গে ১৪টি মন্ত্রনালয়ের দায়িত্বে ছিলেন শ্রীকান্ত জিচকার।
২০০৪ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় তাঁর মৃত্যু হয়। ক্ষণজন্মা এই ভারতীয় রাজনীতিকের জ্ঞান-বিজ্ঞানের প্রতি আকর্ষণের প্রমাণ মেলে তাঁর পাঠাগারে সংগ্রহে থাকা বইয়ের সংখ্যা থেকেও। তাঁর ব্যক্তিগত গ্রন্থাগারে প্রায় ৫২ হাজার বইয়ের খোঁজ পাওয়া যায়।
সূত্র: ইন্ডিয়া টাইমস ডটকম

 

একটু নড়েচড়ে বসুন ……

ইনিই হলেন ভারতবর্ষের সবচেয়ে শিক্ষিত ব্যক্তি ; যাকে হয়ত আপনি, আমি চিনি না-

পয়সার গরম তো জীবনে অনেক দেখলেন । কিন্ত বিদ্যার এমন গরম দেখেছেন না শুনেছেন কখনও ? সবটা শুনলে মাথা ঝিমঝিম করবে আপনার, হাত পাও অবশ হয়ে যেতে পারে বৈকি । এক জীবনে এত পড়াশোনা কোন রক্ত মাংসের মানুষ করতে পারেন ? না পড়লে বিশ্বাস হবে না ; তাও আবার সেই ভদ্রলোক যদি ভারতীয় হন !

মারাঠি এই ভদ্রলোকের নাম শ্রীকান্ত জিচকার । তার পড়াশোনার জীবনটা একবার হাল্কা করে চোখ বুলিয়ে নিন শুধু । তাহলেই বুঝবেন, ভদ্রলোক কি কাণ্ডটাই না করেছেন !

(১) জীবন শুরু ‘M.B.B.S.’ ও ‘M.D.’- এ’ দিয়ে ।
(২) এরপর ‘L.L.B.’ করলেন । সাথে করলেন ‘International Law’-এর উপর স্নাতকোত্তর ।
(৩) এরপর ‘Business Management’-এর উপর ‘Diploma’ ; সাথে ‘M.B.A.’ ।
(৪) এরপর ‘Journalism’ নিয়ে স্নাতক ।

এতদূর পড়ার পর আপনার যখন মনে হচ্ছে, লোকটা পাগল নাকি ? তখন আপনাকে বলতেই হচ্ছে, এ তো সবে কলির সন্ধ্যে । এখনো গোটা রাত বাকি ।

এই ভদ্রলোকের শুধু স্নাতকোত্তর ‘ডিগ্রী’ই আছে দশটা বিষয়ের উপর । স্নাতকোত্তরের বিষয়ের তালিকাটা একবার দেখুন-

(১) ‘Public Administration’
(২) ‘Sociology’
(৩) ‘Economics’
(৪) ‘Sanskrit’ (ডি.লিট)
(৫) ‘History’
(৬) ‘English’
(৭) ‘Philosophy’
(৮) ‘Political Science’
(৯) ‘Encient India History’, ‘Culture’ and ‘Arciolog’
(১০) ‘Cytology’

উপরের যতগুলো বিষয় দেখছেন সব কটিতেই প্রথম শ্রেণীর সঙ্গে স্নাতকোত্তর এবং ২৮টি স্বর্ণপদক বিজয়ী তিনি । সব মিলিয়ে ১৯৭৩ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত প্রতি গ্রীষ্মে ও প্রতি শীতেই উনি কোন না কোন স্নাতকোত্তরের বিষয়ের পরীক্ষা দিয়ে গেছেন ।

মাথা ঝিমঝিম করছে তো আপনার ? তা মাথার আর দোষ কি বলুন ? তবে মাথা ঘুরে পড়ে যাওয়ার আগে একবারটি শুধু শুনে যান- এতসব পড়তে পড়তে ওনার যখন একঘেঁয়েমি লাগছিল তখন ঠিক করলেন, এবার একটু স্বাদ বদলানো যাক ।

স্বাদ বদলাতে আমি-আপনি বেড়াতে যাই আর উনি ‘I.P.S.’ পরীক্ষায় বসলেন এবং পাশ করলেন । সেটা ১৯৭৮ সালে । কিন্তু পোষাল না চাকরীটা । ফলে সেটা ছেড়ে দিয়ে বসলেন ‘I.A.S.’ পরীক্ষায় । ১৯৮০ সালে উনি ‘I.A.S.’ হলেন ।

নটে গাছটা তাহলে মুড়োল শেষ অবধি ? আজ্ঞে না, মুড়োয় নি এখনো । চারমাসের মধ্যে ‘I.A.S.’- এর চাকরিটাও ছেড়ে দিলেন মহারাষ্ট্রের বিধান সভা ভোটে লড়বেন বলে । ১৯৮০ সালে উনি যখন বিধায়ক নির্বাচিত হলেন তখন ওনার বয়স সবে ২৫ বছর । উনি হলেন ভারতের সবচেয়ে কমবয়সী বিধায়ক ।

সবই হল যখন, তখন মন্ত্রী হওয়াটাই বা আর বাকী থাকে কেন ? সেটাও হলেন এবং একটা কিংবা দু’টো দপ্তরের নয়, একেবারে ১৪ টা দপ্তরের । ১৯৯২ সাল নাগাদ রাজ্যসভার সদস্যও নির্বাচিত হলেন ।

ওনার এই ‘সামান্য’ কয়েকটি গুণ ছাড়াও উনি-

■ অসাধারণ চিত্রশিল্পী ।
■ পেশাদার আলোকচিত্রকর ।
■ মঞ্চাভিনেতা ।
■ সখের বেতার চালক ।

এছাড়া উনি জ্যোতিষশাস্ত্রেও বিশেষ পারদর্শী ছিলেন । পরে উনি ‘সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ’ ও ‘ইউনেস্কো’তে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছেন ।

ব্যক্তিগত সংগ্রহে মাত্র ৫২,০০০ বই রয়েছে ওনার । ‘লিমকা বুক অফ রেকর্ডস’ ওনাকে ‘ভারতবর্ষের সবচেয়ে শিক্ষিত ব্যক্তি’র শিরোপা দিয়েছে । ১৯৮৩ সালে উনি ‘বিশ্বের অসামান্য দশজন তরুণ’ হিসেবে নির্বাচিত হন ।

২০০৪ সালে এক পথ দুর্ঘটনায় ওনার মৃত্যু হয় । তখন বয়স হয়েছিল মাত্র ৪৯ বছর । তার মর্মান্তিক মৃত্যুতে একটি জ্বলন্ত নক্ষত্র নিভে যায় । তিনি মৃত্যুর আগে এই শিক্ষা দিয়ে যান, ‘যার যত জ্ঞান ; তার অহংকার তত কম’ ।

তথ্যঃ সংগৃহিত