Skip to content

শারিয়া লংঘনের কথা বলে আফগান রাজনৈতিক দলগুলিকে নিষিদ্ধ করলো তালিবান

শারিয়া লংঘনের কথা বলে আফগান রাজনৈতিক দলগুলিকে নিষিদ্ধ করলো তালিবান

বুধবার তালিবান আফগানিস্তানের সকল রাজনৈতিক দলকে নিষ্ধি ঘোষণা করে বলেছে যে এ ধরণের কর্মকান্ড ইসলামি আইন বা শারিয়ার পরিপন্থি ।

এই ব্যবস্থাটির যখন নেয়া হলো তার ঠিক একদিন আগেই আফগানিস্তানের তথাকথিত তত্পর নেতারা কাবুলে ক্ষমতায় ফিরে আসার দ্বিতীয় বার্ষিকী পালন করলেন।

তালিবানের আইন মন্ত্রী আব্দুল হাকিম শারায়ী আফগান রাজধানী কাবুলে এক সংবাদ সম্মেলনে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণাটি দেন।

বিস্তারিত কোন রকম ব্যাখ্যা না দিয়েই মন্ত্রী বলেন, “ দেশটিতে রাজনৈতিক দলগুলোর তত্পরতা চালিয়ে যাওয়ার পেছনে শারিয়ার কোন ভিত্তি নেই। তারা জাতীয় স্বার্থের পক্ষেও কাজ করে না এবং এ দেশও তাদের ইতিবাচক ভাবে মূল্য়ান করে না”।

দু বছর আগে যখন তদানীন্তন বিদ্রোহী তালিবান যুদ্ধ বিধ্বস্ত আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ পুনরায় গ্রহণ করে সে অবধি আইন মন্ত্রকে আনুষ্ঠানিক ভাবে নিবন্ধিত ছিল ছোট-বড় মিলিয়ে ৭০টির ও বেশি রাজনৈতিক দল।

সেই থেকে তালিবান সমালোচকদের দাবিয়ে রাখার জন্য সভা-সমাবেশ করার স্বাধীনতাকে ক্রমাগত খর্ব করার কারণে অভিযুক্ত হয়েছে। তারা কেবল তাদের সমর্থকদের এ ধরণের কর্মকান্ড করার অনুমতি দিয়ে আসছে।

সেই থেকে তারা দক্ষিণ এশিয়ার এই দারিদ্র-পীড়িত দেশটিতে ইসলামি আইনের কট্টর ব্যখ্যা আরোপ করেছে। ষষ্ঠ শ্রেণীর উপরে মেয়েদের স্কুলে যাওয়া এবং অধিকাংশ আফগান নারীকে তার কর্মক্ষেত্রে যাওয়া ও প্রকাশ্য জীবন যাপন করা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।

নতুন শাসকদের আক্রমণের মুখে রয়েছে আফগানিস্তানের সংবাদ মাধ্যমগুলিও যার ফলে বহু সংবাদ মাধ্যম ও আউটলেটগুলোকে বন্ধ করে দিতে বাধ্য করা হয়েছে এবং শত শত সাংবাদিক সে দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন।

জাতিসংঘ এবং বিশ্বের অন্যান্য নজরদারি সংস্থাগুলি আফগানিস্তানের ক্রম-অনতিশীল মানবাধিকার পরিষ্তিতির সমালোচনা করেছে এবং নারী ও সুশীল সমাজের স্বাধীনতার উপর তাদের বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করে নেয়ার দাবি জানিয়েছে।

আফগানিস্তানের এই বিদ্রোহীরা ক্ষমতা গ্রহণ করার পর আফগানিস্তানের রাজনৈতিক দলের নেতারা এবং রাজনীতিবিদরা সে দেশ থেকে পালিয়ে যান এই আশংকায় যে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত সাবেক সরকারের সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততার কারণে তারা প্রতিশোধের মুখোমুখি হতে পারেন।

সেই থেকে স্বেচ্ছা-নির্বাসিত বহু আফগান নেতা কাবুলের নতুন শাসকদের বিরোধীতা করেছেন এবং তাদেরকে অপসারণের জন্য সশস্ত্র প্রতিরোধেরও আহ্বান জানিয়েছেন কিন্তু তারা তাদের এই অভিযানের পক্ষে আন্তর্জাতিক সমর্থন পাননি।

বিদেশী রাষ্ট্রগুলো আফগান নারীদের প্রতি আচরণের জন্য এবং রাষ্ট্র পরিচালনায় অন্যান্য জাতিগোষ্ঠিী ও রাজনৈতিকদলগুলোকে সম্পৃক্ত না করার জন্য তালিবানকে দেশটির বৈধ সরকার হিসেবে স্বীকৃতি জানাতে অস্বীকার করেছে।

একজন আফগান রাজনৈতিক ভাষ্যকার তরেক ফারহাদি বলছেন তালিবান রাজনৈতিক দল ছাড়াই রাষ্ট্র পরিচালনায় উপসাগরীয় রাষ্ট্রগুলোকেই অনুসরণ করছে।

সূত্র: ভয়েজ অব আমেরিকা