বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা যাতে নিরাপদে নিজ দেশে ফিরে যেতে পারে সেজন্য মিয়ানমারে একটি “নিরাপদ সুরক্ষা অঞ্চল” তৈরি করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনে সাংবাদিকদের বলেছেন, “আমরা তাদের (যুক্তরাষ্ট্র) সঙ্গে টেকসই সমাধানের জন্য আলোচনা করেছি (রোহিঙ্গা সংকটের)। আমরা বলেছি আমাদের অগ্রাধিকার হলো তাদের (রোহিঙ্গাদের) প্রত্যাবাসন”।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ উল্লেখ করেছে, মিয়ানমারের পরিস্থিতি এখনো প্রত্যাবাসনের জন্য অনুকূল নয়।
আব্দুল মোমেন বলেন, “আমরা বলেছিলাম যে, তারা (রোহিঙ্গারা) সেখানে (মিয়ানমার) যাবে এবং অনুকূল পরিবেশ পাবে। আপনি (যুক্তরাষ্ট্র) একটি নিরাপদ সুরক্ষা অঞ্চল তৈরি করুন। রোহিঙ্গাদের নিজেদের দেশেই নিজেদের ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে হবে”।
আব্দুল মোমেন সোমবার ওয়াশিংটন ডিসিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন।
বৈঠকে আব্দুল মোমেন বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অব্যাহত মানবিক সহায়তার জন্য ধন্যবাদ জানান।
তিনি রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনের পরিবেশ সৃষ্টির জন্য মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ অব্যাহত রাখার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
অ্যান্টনি ব্লিংকেন ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে উদারভাবে আতিথ্য দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করেন এবং রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে কাজ চালিয়ে যাওয়ার আশ্বাস দেন। তিনি রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আতিথেয়তা করার জন্য বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান এবং ২০১৭ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের মানবিক সহায়তায় প্রায় ২ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলারের কথা তুলে ধরেন, যার মধ্যে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জরুরি খাদ্য ও পুষ্টি পরিষেবা সরবরাহের জন্য বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির নতুন সহায়তায় ২৩ দশমিক ৮ মিলিয়ন ডলার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।