এক নারী আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে শারীরিক এবং যৌন নির্যাতনের অভিযোগে বরিশালের উজিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ এবং পরিদর্শককে (তদন্ত) প্রত্যাহার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছে বিভাগীয় মামলা।
ডিআইজি বলেন, ওই নারী মোট ৫ জনের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ এনে মামলা করেছেন। তবে মামলা দায়ের করার আগেই নারী নির্যাতনের অভিযোগে উজিরপুর থানার ওসি মো. জিয়াউল আহসান এবং মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মাইনুল ইসলামকে জেলা পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা হয়। একইসঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, অপর ৩ জনের নাম সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করেননি ওই নারী। এ কারণে গঠিত তদন্ত কমিটির দেওয়া প্রতিবেদন অনুসারে অপর ৩ জনকে শনাক্ত করে তাদেরও এই মামলার আসামি অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
তিনি বলেন, আদালতের নির্দেশনা অনুসারে নির্যাতিতার বর্ণনা অনুযায়ী ওই থানার ওসি মো. জিয়াউল আহসান এবং পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মাইনুল ইসলামকে মামলার আসামি করা হয়েছে।
ডিআইজি বলেন, ওই নারী মোট ৫ জনের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ এনে মামলা করেছেন। তবে মামলা দায়ের করার আগেই নারী নির্যাতনের অভিযোগে উজিরপুর থানার ওসি মো. জিয়াউল আহসান এবং মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মাইনুল ইসলামকে জেলা পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা হয়। একইসঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, অপর ৩ জনের নাম সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করেননি ওই নারী। এ কারণে গঠিত তদন্ত কমিটির দেওয়া প্রতিবেদন অনুসারে অপর ৩ জনকে শনাক্ত করে তাদেরও এই মামলার আসামি অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
ওই নারীর আইনজীবী মজিবর রহমান জানান, থানায় রিমান্ডে নিয়ে ওই নারীকে শারীরিক এবং যৌন নির্যাতন করেছে পুলিশ। আদালতের নির্দেশে এই ঘটনার তদন্তও করছে পুলিশ। পুলিশের তদন্তে অভিযুক্তদের অপরাধ প্রমাণ হবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তিনি। এ কারণে বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানান আইনজীবী মজিবর রহমান।
বরিশাল জেলা মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক পুষ্প রানী চক্রবর্তী বলেন, থানায় রিমান্ডে নিয়ে আসামি নির্যাতন জঘন্য অপরাধ। ওই নারী যদি কোনো অপরাধে অভিযুক্ত হয় তবে তার বিচার হবে। রিমান্ডে নিয়ে একজন নারী আসামিকে শারীরিক এবং যৌন নির্যাতনের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি। এ ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক বিচার চেয়ে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে স্মারকলিপি দিয়েছে জেলা মহিলা পরিষদ। এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে সব নাগরিককে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
গত ২৬ জুন বরিশালের উজিরপুরের জামবাড়ি এলাকায় এক ব্যক্তির রহস্যজনক মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় মৃতের ভাইয়ের দায়ের করা মামলায় মিনতি বিশ্বাসকে আসামি করা হয়। ওইদিনই মিনতিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। হত্যার রহস্য উদঘাটনে তাকে দুই দিনের রিমান্ডে নিয়ে গত বুধবার (৩০ জুন) ও বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।
এরপর শুক্রবার (২ জুলাই) তাকে বরিশালের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট উজিরপুর আমলী আদালতে হাজির করা হয়। আদালতে এ সময় মিনতি যৌন ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ করেন পুলিশের বিরুদ্ধে। এরপর আদালত মিনতির শারীরিক পরীক্ষার প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেন শের-ই বাংলা মেডিকেলের পরিচালককে। একইসঙ্গে এ ঘটনায় মামলা দায়েরের সুযোগ দেওয়ার জন্য বরিশালের পুলিশ সুপার এবং রেঞ্জ ডিআইজিকে নির্দেশ দেন আদালত।
এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন মিনতি। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে প্রত্যাহার করা হয় উজিরপুর থানার ওই দুই কর্মকর্তাকে।