সৌপ্তিক বন্দ্যোপাধ্যায় : এই ভোটে সবথেকে আলোচ্য বিষয় খেলা হবে। প্রধানমন্ত্রী ঠেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হয়ে মুখ্যমন্ত্রী সবার মুখেই এখন এই স্লোগান। তৃণমূলের স্লোগান, তাই তাদের প্রার্থীরা কেউ ক্রিকেট খেলে বলছেন খেলা হবে, তো কেউ ফুটবল নিয়ে। বিরোধীরা এবার এ নিয়ে কটাক্ষ করছেন কিন্তু খেলা হবে এই কথাটিকে ছাড়ছেন না। সেই খেলা হবে সন্দেশ খাওয়ালেন শশী পাঁজা এবং মনোনয়ন পত্র জমা দিলেন।
শশী পাঁজা বলেন , ‘মিষ্টি মুখে সবার সঙ্গে উন্নয়নের খেলায় মাততে চাই। তাই এই খেলা হবে মিষ্টি বিতরণ। তাছাড়া এটা আমাদের এই নির্বাচনের অন্যতম হিট স্লোগান। বিরোধীরা অনেক কিছুই বলতে পারে, অন্যভাবে বিষয়টা দেখাতেই পারে কিন্তু এতে কোনও খারাপ ইঙ্গিত আছে বলে মনে হয় না। আর রাজনীতির যে ময়দান সেখানে দেখা হবে , খেলা হবে, জেতাও হবে বলে আমি মনে করি।’
শশী পাঁজা হলেন একজন চিকিৎসক, সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস রাজনীতিবিদ এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের একজন রাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি রাজনীতিবিদ অজিতকুমার পাঁজার পুত্রবধূ। ড. শশী পাঁজার বাবা পি. ভি. কৃষ্ণাইহ (পিল্লালামারি তেনালি) ছিলেন হিন্দুস্তান মোটরসের চিফ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ার। তিনি তার সমগ্র কর্মজীবন অতিবাহিত করেছিলেন হিন্দমোটর কলোনিতে। ড. শশী পাঁজাও সেখানে বড়ো হয়েছেন। পরে তিনি কলকাতার রাধাগোবিন্দ কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে এমবিবিএস করেন। তিনি আল্ট্রাসাউন্ড ও বন্ধ্যাত্ব বিশেষজ্ঞ। তিনি রাজনীতিবিদ অজিতকুমার পাঁজার পুত্র ড. প্রসূন কুমার পাঁজাকে বিবাহ করেন। ২০১০ সালে ড. শশী পাঁজা কলকাতা পৌরসংস্থার একজন পৌর-প্রতিনিধি নির্বাচিত হন। সেই সময় তিনি মহানাগরিক পরিষদে শিক্ষাবিভাগের দায়িত্ব পান। ২০১১ সালে তিনি শ্যামপুকুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় নির্বাচিত হন।
২০১৩ সালের ডিসেম্বর মাসে তিনি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নারী ও শিশুকল্যাণ বিভাগের রাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। ২০১৪ সালের মে মাসে তাকে সমাজকল্যাণ বিভাগের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়।
দেবাংশু ভট্টাচার্যের খেলা হবে লিখেছেন, ‘বাইরে থেকে বর্গী আসে, নিয়ম করে প্রতি মাসে, আমিও আছি, তুমিও রবে , বন্ধু এবার খেলা হবে খেলা খেলা খেলা হবে। তৃণমূলের ভাঙিয়ে নেতা, নয়কো সহজ ভোটে জেতা, দিদির ছবি রইবে সাথে, বন্ধু সেদিন খেলা হবে, খেলা খেলা খেলা হবে। কন্যাশ্রী বোনটা আমার, হচ্ছে যখন ইঞ্জিনিয়ার, যুদ্ধ সে বোন জিতেই লবে, বন্ধু এবার খেলা হবে, খেলা খেলা খেলা হবে। বুড়ি মায়ের স্বাস্থ্য সাথী, ফুলিয়ে বলে বুকের ছাতি, অপারেশন ফ্রিতে হবে,খেলা খেলা খেলা হবে। কব্জি যদি শক্তিশালী, মাঠে আছে লড়নে ওয়ালি, বন্ধু বলো আসছো কবে, খেলা খেলা খেলা হবে। আমার মাটি সইবে না, ইউপি, বিহার হইবে না বাংলা আমার বাংলা রবে, ভীষণ রকম খেলা হবে, খেলা খেলা খেলা হবে। হাথরাসেতে বোনকে জ্বালাও, মোদী বলেন থালা বাজাও এই মাটিতেও বাজনা হবে, নতুন রকম খেলা হবে, খেলা খেলা খেলা হবে। পেঁয়াজ, আলু, গ্যাসের দামে, দেশকে ভাঙো রামের নামে রামের দেবী দুর্গা তবে, বন্ধু জেনো, খেলা হবে, খেলা হবে…খেলা হবে। আঠারোটা এমপি নিয়ে, বাংলাকে মোর ভুললে গিয়ে রিটার্ন তুমি আসবে কে? বন্ধু সেদিন খেলা হবে, খেলা খেলা খেলা হবে। মুকুল, শোভন, সব্যসাচী, বিজেপি আজ আস্ত রাঁচি, দিলীপ কি ফের কাঁদবে তবে? খেলা হবে খেলা হবে। বন্ধু সেদিন খেলা হবে। খেলা হবে…খেলা হবে। ‘সবুজ আবির খেলা হবে, খেলা খেলা খেলা হবে, বন্ধু এসো খেলা হবে, খেলা খেলা খেলা হবে, মাঠেই আছি, খেলা হবে, খেলা খেলা খেলা হবে, ভীষণ রকম খেলা হবে, খেলা খেলা খেলা হবে, খেলা হবে…খেলা হবে, বাংলাতে ভাই, দিদিই রবে, খেলা খেলা খেলা হবে’।
খেলা হবে পার্ট টু’ও চলে এসেছে । গানে বলা হয়েছে ‘আগামী ইলেকশনে, মমতা দি’র টানে, বলে যাই কানে কানে, মা মাটি মানুষের গানে। এলো যে মনোজ ভাই, বলতে এলাম তাই, হাতে হাত রেখে তবে, বলো রে বলো খেলা হবে। এই মাটিতে খেলা হবে, শিবপুরে খেলা হবে, হাওড়াতে খেলা হবে’।
লাল-নীল-গেরুয়া…! ‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’!
‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.
করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।