ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রামানিয়াম জয়শঙ্কর বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে থাকা নথিবিহীন ভারতীয়দের ফিরিয়ে নিতে নয়াদিল্লি রাজি। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সঙ্গে ওয়াশিংটনে বৈঠকের পর জয়শঙ্কর এই মন্তব্য করেছেন। ওই বৈঠকে আলোচিত বিষয়গুলির মধ্যে ছিল অবৈধ অভিবাসন।
নয়াদিল্লি অবৈধ অভিবাসনকে কঠোরভাবে বিরোধিতা করে বলে জানিয়ে তিনি সংবাদদাতাদের বলেন, “আমরা সবসময়ই এই অবস্থান নিয়েছি যে আমাদের দেশের কোনও নাগরিক যদি অবৈধভাবে এখানে থাকেন এবং আমরা যদি নিশ্চিত হই যে, তারা আমাদের দেশেরই নাগরিক, তাহলে তাদের বৈধভাবে ভারতে ফেরাতে আমরা সবসময়ই প্রস্তুত।” তিনি আরও বলেন, প্রতিটি দেশের সঙ্গে ভারত এই অবস্থানই নেয়।
রুবিওর সঙ্গে বৈঠকের একদিন পর বুধবার ওয়াশিংটনে এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছিলেন জয়শঙ্কর।
দফতরে দায়িত্ব নেওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প একাধিক নির্বাহী আদেশ জারি করেছেন; এর লক্ষ্য অবৈধ অভিবাসন ঠেকানো এবং যুক্তরাষ্ট্রে যারা অবৈধভাবে রয়েছেন তাদের ফেরত পাঠানো।
পিউ গবেষণা কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্রে নথিবিহীন অভিবাসীর নিরিখে ভারতের স্থান তৃতীয়; মেক্সিকো ও এল সালভাদরের পরই। এ দেশে অবৈধ ভারতীয়র সংখ্যা প্রায় ৭ লক্ষ ২৫ হাজার, এমনটাই বলছে সংস্থাটি।
জয়শঙ্কর বলেছেন, বর্তমানে ফেরতযোগ্য ব্যক্তিদের পরিচয় যাচাই করছে নয়াদিল্লি; অবৈধ অভিবাসীদের সংখ্যা নির্দিষ্টভাবে বলা সম্ভব নয়।
চলতি সপ্তাহের শুরুতে ব্লুমবার্গ এই বিষয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র প্রায় ১৮ হাজার নথিবিহীন ভারতীয় অভিবাসীকে চিহ্নিত করেছে; এই ব্যক্তিদের দেশে ফেরত পাঠানো হবে; এ জন্য ভারত যাচাই করবে ও প্রক্রিয়া শুরু করবে।
যুক্তরাষ্ট্রে থাকা উপযুক্ত নথিবিহীন ভারতীয়দের দেশে ফেরানোর কাজ অনেক দিন ধরে চলছে; উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, অক্টোবরে একদল ভারতীয় নাগরিককে স্বদেশে পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর বৈধ অভিবাসন প্রক্রিয়ার সমর্থনে কথা বলেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, “সরকার হিসেবে আমরা অবশ্যই বৈধ চলাচলকে অনেকটা সমর্থন করি কেননা আমরা বৈশ্বিক কর্মক্ষেত্রে বিশ্বাসী। আমরা চাই, ভারতীয় প্রতিভা ও দক্ষতা বৈশ্বিক স্তরে সর্বোচ্চ সুবিধা পাক।”