মোসারাত জাহান মুনিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় আত্মহত্যায় বড় ধরনের প্ররোচনা আছে — এমন আশঙ্কা থেকেই মামলা নিয়েছে পুলিশ।
আজ বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
উপ-কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, মুনিয়ার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করার পরে পুলিশ এসে তাকে নামায় ও বিছানায় শুইয়ে দেয়। বড় ধরনের বিপদ ঘটতে পারে বলে মুনিয়া তার পরিবারকে জানিয়েছিলেন। এই ঘটনায় ওই রাতেই মুনিয়ার বোন নুসরাত জাহান বাদী হয়ে বসুন্ধরার ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরকে আসামি করে আত্মহত্যায় প্ররোচণার মামলা করেন।
পুলিশের এই কর্মকর্তা আরো বলেন, “ফ্ল্যাট থেকে মরদেহ উদ্ধারের পর ভুক্তভোগী তরুণীর বোন পুলিশকে জানানোয় উৎসাহী ছিলেন না, তারা মামলা করতেও অতটা ইচ্ছুক ছিলেন না। বাড়ির মালিক পুলিশকে জানান।”
সুদীপ কুমার চক্রবর্তী জানান, গুলশানের সেই ফ্ল্যাটে গিয়ে দেয়ালে টাঙানো মোসরাতের সঙ্গে আনভীরের ছবি দেখা যায় এবং কয়েকটি ডায়েরি পায় পুলিশ। ডায়েরিগুলোয় ‘সুইসাইডাল নোটের’ মতো অনেক কিছু লেখা। এসব দেখে পুলিশ অনুমান করে, একজন প্রতিশ্রুতিশীল তরুণী মাত্র ২১ বছর বয়সে কোনো কারণ বা প্ররোচনা ছাড়া আত্মহত্যা করতে পারে না। সে রাতেই পুলিশ যা যা তথ্য সংগ্রহ করার দরকার, তার সব সংগ্রহ করে এবং তাৎক্ষণিক সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে মামলা হয়।
ঘটনার রাতে তিনিসহ, গুলশান বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার, সহকারী কমিশনার, গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) সব কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে ছিলেন বলে জানান উপ-কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী।
গত ২৬ এপ্রিল, সোমবার সন্ধ্যার পর রাজধানীর গুলশানের নিজের ফ্ল্যাট থেকে মোসারাত জাহান মুনিয়ার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীরকে আসামি করে মামলা করেন মুনিয়ার বোন নুসরাত জাহান।
মামলার এজাহারে বাদী বলেন, মিরপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী মোসারাত জাহান মুনিরা। দুই বছর আগে মুনিরা এবং সায়েম সোবহান তানভীরের মধ্যে পরিচয় হয়। এরপর থেকে তারা বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় দেখা করতেন। তাদের প্রায় সময় মোবাইলে ফোনে কথা বলতে দেখা যেত। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।