ইসরায়েল থেকে মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দীদের আত্মীয়স্বজন ও সমর্থকরা দখলকৃত পশ্চিম তীরের শহর রামাল্লায় তাদের উষ্ণ অভ্যর্থনা জানাতে সমবেত হয়। বন্দীরা ওফার কারাগার থেকে বাসে এসে নামতেই তাদের আলিঙ্গন করা হয় এবং উচ্ছ্বাসে স্বাগত জানানো হয়। রামাল্লায় ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রধান কার্যালয় অবস্থিত।
গাজা যুদ্ধবিরতির ভঙ্গুর চুক্তি মেনে ইসরায়েল ও হামাস শনিবার তাদের পঞ্চম জিম্মি ও বন্দি বিনিময় সম্পন্ন করেছে; মুক্তিপ্রাপ্ত তিন ইসরায়েলির দুর্বল, দিশেহারা চেহারা তাদের আত্মীয়দের মধ্যে হতাশা তৈরি করেছে।
ইসরায়েল এর বিনিময়ে ১৮৩ জন বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে; এদের মধ্যে সাতজনকে হাসপাতালে নিতে হবে, জানিয়েছে ফিলিস্তিনি প্রিজনার্স ক্লাব অ্যাডভোকেসি গোষ্ঠী। জেলে বন্দিদের সঙ্গে “নৃশংসতা” ও দুর্ব্যবহারের নিন্দা করেছে এই সংগঠন।
যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর থেকে এই পঞ্চম বিনিময় যুদ্ধ স্থায়ীভাবে বন্ধ করার পথ প্রশস্ত করবে।
প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প প্রস্তাব দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র গাজার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সেখানকার বাসিন্দাদের সরিয়ে দেওয়া উচিত। যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কিছু আন্তর্জাতিক মিত্র ট্রাম্পের এই পরিকল্পনার সমালোচনা করেছে । এই মিত্ররা ইসরায়েলের পাশাপাশি একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং যারা “দুই-রাষ্ট্র সমাধান” ধারণাকে সমর্থন করে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরে হামাসের যে হামলার ফলে যুদ্ধের সূত্রপাত ঘটে, সেই দিন ওর লেভি, ওহাদ বেন অ্যামি ও এলি শারাবিকে জঙ্গিরা অপহরণ করেছিল; ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, এরা শনিবার “সীমান্ত পেরিয়ে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে প্রবেশ করেছেন।”
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে এদের প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে হামলার সময় জিম্মি হিসেবে আটক ২৫১ জনের মধ্যে ৭৩ জন এখনও গাজায় বন্দি রয়েছেন; এদের মধ্যে ৩৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।
(এএফপি/ভিওএ)