Sunday, January 19, 2025

সপ্তাহে শীর্ষে

প্রাসঙ্গিক বার্তা

মিরসরাইয়ে সুপেয় পানি সংকট কাটছে না ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর

 

ট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ছয়টি মহল্লায় বাস করে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষ। এ মহল্লাকে স্থানীয়ভাবে বলা হয় আদিবাসী পাড়া। সদর ইউনিয়নের তালবাড়িয়া, করেরহাট ইউনিয়নের সাইবেনীখীল, নলখো, কয়লা, কালাপানিয়া ও খৈয়াছরা ইউনিয়নের পূর্ব মসজিদ্দিয়া ত্রিপুরাপাড়ার এক হাজারটি পরিবার রয়েছে। বর্ষায় পানির তেমন সংকট না থাকলেও প্রকট হয় শুকনো মৌসুমে। বিভিন্ন সময় সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নিলেও পানির সংকট এখনো কাটেনি।

ভুক্তভোগীরা বলছেন, আদিবাসী পাড়াগুলোয় সুপেয় পানির ব্যবস্থা নেই। কিছু পরিবারে নলকূপ থাকলেও অধিকাংশ আদিবাসী কূপ ও সচ্ছল পরিবারগুলো থেকে পানি কিনে ব্যবহার করছে। এজন্য মাসিক হারে টাকা দিতে হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পাঁচ বছর আগে ওই মিরসরাই সদর ইউনিয়নের তালবাড়িয়ার ত্রিপুরাপাড়ায় উপজেলা পানি ব্যবস্থাপনা ফোরামের সভাপতি ডা. জামশেদ আলমের উদ্যোগে ১৩টি কূপ স্থাপন করা হয়। তবে এর মধ্যে এখন পানি রয়েছে মাত্র চারটিতে। পরে উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে একটি রিং টিউবওয়েল দেয়া হয়েছিল। কিন্তু সেটিও নষ্ট হয়ে গেছে। এখন ওই পাড়ায় সুপেয় পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।

ত্রিপুরা পাড়ার সর্দার উত্তম ত্রিপুরা জানান, তালবাড়িয়ায় দুটি পাড়া রয়েছে। একটি রিজার্ভ পাড়া ও অন্যটি চৌধুরী পাড়া। সেখানে প্রায় ১৪০টি পরিবার রয়েছে। যাদের সুপেয় পানির উৎস হলো কূপ। তবে শীত মৌসুমে কূপের পানি শুকিয়ে যায়। আর বর্ষায় পাহাড়ি ঢলে কূপগুলো তলিয়ে যায়।

উপজেলার খৈয়াছরা ইউনিয়নের পূর্ব মসজিদ্দিয়া ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী পাড়ার বাসিন্দা ধনবীর ত্রিপুরা বলেন, ‘আমাদের পাড়ায় প্রায় ৭০টি পরিবার রয়েছে। তাদের সবাই ছড়ার পানি ব্যবহার করেন। তবে শুষ্ক মৌসুমে ছড়ায় তেমন পানি থাকে না। আর বর্ষায় পাহাড়ি ঢলে তলিয়ে যায় ছড়াটি। এক প্রকার সারা বছরই পানি সংকটে ভুগতে হয়।’

করেরহাট ইউনিয়নের সাইবেনীখীল পাড়ায় ১০০টি পরিবারে পাঁচ শতাধিক মানুষ বাস করে। ওই পাড়ায় প্রায় ৩৫ জনের নলকূপ রয়েছে। যাদের নেই তারা মাসিক ৫০-১০০ টাকায় সুপেয় পানি কিনে নেন। ছড়ার পানি ব্যবহার করায় অনেক সময় পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হন তারা। একই অবস্থা ওই ইউনিয়নের নলখো পাড়ায়। সেখানে ১১০টি পরিবার রয়েছে। তবে ৪৫-৫০টি পরিবারে নলকূপ রয়েছে। ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্থাপন করা নলকূপ থেকে পানি সংগ্রহ করেন বাকিরা।

এ ব্যাপারে মিরসরাই উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী কেএম সাঈদ মাহমুদ বলেন, ‘আদিবাসী পাড়াগুলো পাহাড়ে হওয়ায় গভীর নলকূপ স্থাপনা করা যায় না। তাই রিং টিউবওয়েলের মাধ্যমে ধীরে ধীরে পানির সংকট নিরসনের চেষ্টা চলছে।’

 

বার্তা সূত্র

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

পাঠক প্রিয়