Skip to content

মানসিক স্বাস্থ্যে মিউজিক থেরাপি

মানসিক স্বাস্থ্যে মিউজিক থেরাপি

ছবি : সংগৃহীত

মন খারাপ কিংবা ভালো যেকোনো আবেগ নিমেষে পরিবর্তন করার ক্ষমতা শুধু সংগীতেরই আছে। নানা রোগ নিরাময় করার ক্ষমতা আছে সংগীতের। গান আত্মার শান্তি যোগাতেও সাহায্য করে। আর এজন্যে বিশেষজ্ঞরাও মিউজিক থেরাপিকে গুরুত্ব দেন।

মিউজিক থেরাপি-

মিউজিক থেরাপি হলো এমন এক চিকিৎসাপদ্ধতি যেখানে রোগীর শারীরিক ও মানসিক অবস্থা ভালো করার জন্য গানের সাহায্য নেওয়া হয়। মিউজিক থেরাপিতে বিভিন্ন ভাইব্রেশনের একটি সিরিজ নেওয়া হয়। এই সিরিজ তৈরি করে শব্দ। শরীর এই ভাইব্রেশন বা কম্পন গ্রহণ করার পরই আসতে থাকে বদল। তবে মিউজিক থেরাপি বলতে কেবল গান শোনা নয়, পাশাপাশি গান করা, বাদ্যযন্ত্র বাজানো, গান লেখা ইত্যাদি বিষয়গুলোও রয়েছে। একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নিজের ইচ্ছেমতো এগুলোর মধ্যে থেকে কয়েকটি বিষয় রোগীর ওপর প্রয়োগ করেন।

জেনে নিন মিউজিক থেরাপি শরীরের জন্য কতটা উপকারী

মানসিক চাপ ও উদ্বেগ কমায়- গবেষণায় দেখা গেছে যে, ধীরগতি বা যন্ত্রের গান শুনলে মানুষ অনেক স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতে পারে। অত্যন্ত চাপযুক্ত বা বেদনাদায়ক ঘটনার সময়ও মন শান্ত করতে পারে সংগীত। উদ্বেগ কমানোর ক্ষমতা রয়েছে সংগীতের।

ব্যথা কমায়- ব্যথা কমানোর সংগীতের অনন্য ক্ষমতা রয়েছে। দ্য ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োটেকনোলজি ইনফরমেশনের একটি গবেষণায়, মেরুদণ্ডের অস্ত্রোপচার করা রোগীদের, অস্ত্রোপচার-পরবর্তী ব্যথার মাত্রায় পরিমাপ করা হলে, গান শোনেনি এ রকম রোগীদের তুলনায়, গান শুনেছেন এমন রোগীদের উল্লেখযোগ্যভাবে কম ব্যথা ছিল।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়- ইমিউনোগ্লোবুলিন এ (আইজিএ) আমাদের প্রথম সারির প্রতিরক্ষা প্রতিরোধ ব্যবস্থার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্টিবডি। গবেষণা অনুসারে, একদল লোক কিছু সময়ের জন্য বিভিন্ন ধরনের সংগীতের সংস্পর্শে এসেছিল। যারা শান্ত সংগীতের সংস্পর্শে এসেছিল তাদের, অন্যদের তুলনায় IgA-তে স্বাভাবিক বৃদ্ধি ছিল। তাই প্রশান্তিদায়ক সংগীতের সংস্পর্শে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত হতে পারে।

ব্যায়াম করতে সাহায্য করে- আমরা অনেকেই ওয়ার্ক আউট করার সময় বিভিন্ন ধরনের গান শুনতে পছন্দ করি। সংগীত, আমাদের ব্যায়ামে মনোনিবেশ করতে সাহায্য করে। অক্সিজেন লেভেল বাড়ানোর জন্য ব্যায়াম করার সময় উৎসাহ বাড়ায় এ রকম গান শোনা বাঞ্ছনীয়।

শান্তিতে ঘুমাতে সাহায্য করে- গান স্নায়ুতন্ত্র প্রশমিত করে শিথিলককরণে অবদান রাখতে পারে। সংগীত স্বায়ত্তশাসিত স্নায়ুতন্ত্রের শান্ত অংশগুলোর মাধ্যমে ঘুমের উন্নতি করে, যার ফলে ধীর শ্বাস, স্থিতিশীল হৃদস্পন্দন এবং রক্তচাপ কমে যায়।



বার্তা সূত্র