Skip to content

মানবজাতির সাথে এআইয়ের যুদ্ধ নিয়ে সিনেমা

মানবজাতির সাথে এআইয়ের যুদ্ধ নিয়ে সিনেমা

আন্তর্জাতিক মুক্তির দিনে বাংলাদেশের দর্শকরাও সিনেমাটি দেখতে পারবেন

KSRM

সায়েন্স ফিকশন বা সাই-ফাই সিনেমার বয়স প্রায় চলচ্চিত্র মাধ্যমটির বয়সের সমান! সেই ১৯০২ সালে জর্জ মিলিয়ে বানিয়েছিলেন প্রথম ছবিটি। তার বানানো ‘আ ট্রিপ টু দ্য মুন’ দেখে এখনো তাক লেগে যায়। মানুষ চাঁদে গেল তারও কত পরে! বলতে গেলে এই সেদিন, ১৯৬৯ সালে। ইতিহাস অনেক পুরোনো হলেও কল্পবিজ্ঞানের ছবি জনপ্রিয় হয় আরও অনেক পরে।

স্টার ওয়ারস দিয়ে সিনেমার এ ঘরানার জয়যাত্রা শুরু। পরে জনপ্রিয়তা এতই বাড়ল যে অনেক নির্মাতা মারদাঙ্গা অ্যাকশন ছবিকেও সাই-ফাই বলে চালিয়ে দিতে থাকলেন। সুপারহিরো ছবিকেও সাই-ফাই বলা হলো। কিন্তু বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনি মানে তো এমন ছবি, যা ভবিষ্যৎ পৃথিবীর চেহারাটা কেমন হতে পারে, তা নিয়ে চিন্তার খোরাক জোগাবে। এই যেমন এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আগামী দিনে মানব অস্তিত্বের জন্য হুমকি হবে কিনা এমন ধারণাকে সামনে রেখে সম্প্রতি ব্রিটিশ চলচ্চিত্র নির্মাতা গ্যারেথ এডওয়ার্ডস নির্মাণ করলেন ‘দ্য ক্রিয়েটর’।

Bkash July

শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিকভাবে মুক্তি পেতে যাচ্ছে এ ছবি। একই দিনে বাংলাদেশের স্টার সিনেপ্লেক্সের শাখাগুলোতেও মুক্তি পাবে ছবিটি।

বর্তমান বিশ্বে অন্যতম আলোচিত বিষয় এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। অগ্রসরমান এ প্রযুক্তির সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে গবেষণা চলছে প্রচুর। একটা সময় এটি মানুষের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায় কিনা এ নিয়ে রীতিমত বিতর্ক হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা এখানে বিভক্ত মতামত দিচ্ছেন। আশঙ্কার বিষয়টি হচ্ছে, উন্নত এআই সিস্টেমে ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে। যেমন বিষাক্ত কোনো কিছু বা ভাইরাস ছড়ানো বা মানুষকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে প্ররোচিত করার মতো পথ বেছে নিতে পারে।

Reneta June

গবেষকদের আশঙ্কা, ভবিষ্যতের এআইয়ের নিজের উদ্দেশ্য থাকতে পারে। এসব উদ্দেশ্য এর নির্মাতাদের চেয়ে পৃথক কিছু হয়ে উঠতে পারে। এমন আশঙ্কা একেবারেই উড়িয়ে দেওয়া যায় না। এ থেকেই এআই নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি সামনে আসতে শুরু করেছে। বাস্তবিক এই চিন্তাকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে ‘দ্য ক্রিয়েটর’ নির্মাণ করেছেন গ্যারেথ এডওয়াথ।

মানবজাতি এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার শক্তিগুলোর মধ্যে একটি ভবিষ্যত যুদ্ধকে কেন্দ্র করে নির্মিত হয়েছে এ ছবির গল্প। কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন জন ডেভিড ওয়াশিংটন। অন্যান্য চরিত্রে রয়েছেন জেমা চ্যান, কেন ওয়াটানাবে, স্টারগিল সিম্পসন, অ্যালিসন জ্যানি প্রমুখ। বিষয়বস্তুর কারণে ছবিটি এরইমধ্যে আলোচনার সৃষ্টি করেছে। ট্রেলার দেখে অনেকেই ইতিবাচক মন্তব্য করেছেন। সায়েন্স ফিকশন ছবির দুনিয়া এটি ভিন্নমাত্রা যোগ করবে বলে মনে করছেন কেউ কেউ।

I Screen Ami k Tumi

বার্তা সূত্র