কলকাতা: শুক্রবার রাতে পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুরের ভূপতিনগরে তৃণমূল বুথ সভাপতির বাড়িতে বিস্ফোরণ হয়। ওই ঘটনায় বুথ-সভাপতি সহ তিন জন মারা গিয়েছেন। যা নিয়ে তৃণমূল-বিজেপি রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে। এরই মধ্যে ক্রমশ রহস্য ঘণীভূত হচ্ছে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘিরে।
কাঁথিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার আগে শুক্রবার পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরে ভয়াবহ বোমা বিস্ফোরণ হয়। বোমার শব্দে কেঁপে উঠেছিল ভূপতিনগর থানার অর্জুননগর গ্রাম পঞ্চায়েতের নাড়য়াবিলা গ্রাম।
সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলে বিস্ফোরক দাবি করেন মৃত রাজকুমার মান্নার স্ত্রী ও মেয়ে। মৃত রাজকুমারের মেয়ে দাবি করেন, তাঁর মা না কি তাঁকে সকালে বলেন যে বাবাকে কে নাকি নিয়ে গিয়েছে। তিনি আর বেঁচে নেই। এরই মাঝে জানা যায়, বিস্ফোরণে মৃত তিনজনেরই ঝলসানো দেহ বাড়ি থেকে বহু দূরে উদ্ধার হয়।
বিজেপির অভিযোগ, রাজকুমার মান্নার বাড়িতে বোমা বাঁধার কাজ চলছিল। সেই সময়ই এই বিস্ফোরণ ঘটে। এই ঘটনায় এবার এনআইএ-তদন্তের দাবি করেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার।
মালদহে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সুকান্ত বলেন, “ভূপতিনগরে যে বোমা বিস্ফোরণ হয়েছে, আমরা চাইছি যে এই ঘটনায় এনআইএ তদন্ত হোক। আমি এনআইএ তদন্ত চেয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠিও লিখছি। বিস্ফোরণে তিন জন মারা গিয়েছে। এই ধরনের ঘটনায় এনআইএ-র তদন্ত করার অধিকার রয়েছে।”
বিস্ফোরণের ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবি তুললেন বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীও। এদিন এক টুইট বার্তায় শুভেন্দু লেখেন, “বিস্ফোরণে তৃণমূল নেতার বাড়ি উড়ে গিয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের, গুরুতর জখম হয়েছেন ২ জন। তৃণমূল নেতা রাজকুমার মান্না তাঁর বাড়িতে বসে বোমা বাঁধছিলেন, সেই সময়ই এই তীব্র বিস্ফোরণ ঘটে। আমি এনআইএ তদন্তের দাবি জানাচ্ছি”।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাত ১১টা নাগাদ বিস্ফোরণের বিকট শব্দে কেঁপে উঠেছিল গোটা গ্রাম। কালো ধোঁয়া ঢেকে গিয়েছিল এলাকা। সেই ঘটনায় হত তিন। বিজেপির দাবি, বোমা বাঁধতে গিয়েই বিস্ফোরণ ঘটে তৃণমূল নেতার বাড়িতে। পাল্টা তৃণমূলের দাবি, এই ঘটনা অভিষেকের সভা বানচালের ষড়যন্ত্র।
