Skip to content

ভারতে সংসদের বর্ষাকালীন অধিবেশনে বিরোধীদের দাবি মণিপুর নিয়ে মোদীর বক্তব্য, সরকার পক্ষ নীরব

ভারতে সংসদের বর্ষাকালীন অধিবেশনে বিরোধীদের দাবি মণিপুর নিয়ে মোদীর বক্তব্য, সরকার পক্ষ নীরব

সংসদে বিরোধীদের দাবি, মণিপুর নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে সংসদে বিবৃতি দিতে হবে। অন্যদিকে, সরকার পক্ষের বক্তব্য, মণিপুর নিয়ে সরকার সংসদে আলোচনায় রাজি, কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি প্রসঙ্গে সরকার পক্ষ কোনও কথা বলেনি।

দুই পক্ষের এমন অনড় অবস্থানের জেরে সোমবার ২৪ জুলাইও সংসদের দুই কক্ষের অধিবেশন বিঘ্নিত হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের আগেই স্থগিত হয়ে যায় রাজ্যসভা ও লোকসভার অধিবেশন।

লোকসভায় বেলা দুটোর পর ফের অধিবেশন শুরু হলে মণিপুর নিয়ে সংক্ষিপ্ত বিবৃতি দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি জানান, মণিপুর নিয়ে সরকার আলোচনায় রাজি। অমিত শাহের বিবৃতির সময়ও বিরোধীরা দাবি করতে থাকেন প্রধানমন্ত্রীকে সভায় এসে মণিপুর নিয়ে সরকারের বক্তব্য জানাতে হবে। কিন্তু শাহ বারে বারে বলেন, সরকার আলোচনায় রাজি। বিরোধীরা রাজি আছেন কি না তা জানতে চান তিনি। অবশ্য প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতির প্রসঙ্গ এড়িয়ে যান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

গত শুক্রবার ২১ জুলাই সংসদ শুরুর দিনে একই কথা বলেছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তিনিও প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতির প্রসঙ্গ এড়িয়ে যান। রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য এর থেকে স্পষ্ট মোদীর বিবৃতির প্রশ্নে সরকার বিরোধীদের দাবি মানবে না।

অমিত শাহের বিবৃতির পরই লোকসভার অধিবেশন দিনের মতো স্থগিত হয়ে যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, পরিস্থিতি যে দিকে গড়াচ্ছে তাতে বর্ষাকালীন অধিবেশনও বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্বের মতো হতে চলেছে। মে মাসে বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় দফার পুরোটাই অচলাবস্থার মধ্যে কাটে। সেই অধিবেশনে আদানি ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করেন বিরোধীরা। বাজেট অধিবেশনের আলোচনায় জবাবি ভাষণে প্রধানমন্ত্রী সংসদের দুই কক্ষে দীর্ঘ ভাষণ দিলেও আদানি প্রসঙ্গ এড়িয়ে যান। কিন্তু বর্ষাকালীন অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর সংসদে উপস্থিতির কোনও বাধ্যবাধকতা নেই।

এবারে, বিরোধীদের দাবি, প্রধানমন্ত্রীকে সংসদে এসে মণিপুর নিয়ে মন্তব্য রাখতে হবে। তবেই বিরোধীরা সংসদে আলোচনায় রাজি। কংগ্রেস সাংসদ শশী তারুর বলেন, “প্রধানমন্ত্রী মিডিয়ার সামনে মণিপুর নিয়ে মুখ খুলেছেন। তাঁর সংসদে বিবৃতি দিতে আপত্তি কেন?”

এদিকে, রাজ্যসভায় আম আদমি পার্টির সদস্য সঞ্জয় সিংকে চলতি অধিবেশনের বাকি দিনগুলির জন্য বহিষ্কার করেন সভার উপাধ্যক্ষ হরিবংশ। বহিষ্কারের আদেশ জারির পরই প্রথম দফার অধিবেশন স্থগিত করে দিয়েছিলেন হরিবংশ। কিন্তু, দ্বিতীয় দফায় সভা শুরু হলে দেখা যায় সঞ্জয় সিং নিজের আসনে বসে। বরখাস্তের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ছিল তাঁর এই সিদ্ধান্ত।

সূত্র: ভয়েজ অব আমেরিকা