Skip to content

ভারতে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে কলকাতায় আসছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল

ভারতে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে কলকাতায় আসছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল

মঙ্গলবার ২৩ মে কলকাতায় আসছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল। সব ঠিক থাকলে মঙ্গলবারই দুপুর তিনটেয় নবান্নে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি।

বিশেষজ্ঞদের পর্যবেক্ষণ, কয়েক মাস ধরেই দেখা যাচ্ছে, বিভিন্ন কংগ্রেসী এবং অ-বিজেপি নেতারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করছেন এবং দৌত্য চালাচ্ছেন। এর আগে কুমারস্বামী এসেছিলেন, এসেছিলেন অখিলেশ যাদব। নীতিশ কুমার, তেজস্বী যাদব এসেও দেখা করে গিয়েছেন নবান্নে। এবার আসছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল।

তাঁদের আরও পর্যবেক্ষণ, তাৎপর্যপূর্ণ ব্যাপার হল, সবক’টি আঞ্চলিক দলের সঙ্গে কংগ্রেসের সম্পর্ক সমান নয়। যেমন, কর্নাটকের ভোটে কংগ্রেস বিজেপিকে হারিয়ে জিতেছে। সেই কংগ্রেসের জয়ের পরে নতুন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া ও উপমুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমারের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে নীতিশ কুমার, তেজস্বী যাদব আমন্ত্রিত থাকলেও, কেজরীওয়াল, কেসি রাও, পিনারাই বিজয়ন প্রমুখ নিমন্ত্রণ পাননি সেখানে।

পর্যবেক্ষকদের অনেকের মতে, এই রাজ্যের রাজনৈতিক পরিচিতির প্রেক্ষাপট থেকেই তাঁরা আমন্ত্রণ পাননি। আবার সর্বভারতীয় প্রেক্ষাপটে নীতিশ কুমার, তেজস্বী যাদবরা আমন্ত্রণ পাননি। এই ঘটনায় রাজনৈতিক সমীকরণ খুঁজে পেয়েছেন তাঁরা। কেরলে সরকার চালায় সিপিএম নেতৃত্বাধীন এলডিএফ অর্থাৎ লেফ্ট ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট। সেখানে মূল বিরোধী শক্তি কংগ্রেস। ফলে সেই জায়গা থেকে কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নকে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রীর শপথে আমন্ত্রণ জানাননি।

অথচ সিপিএমের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক, সীতারাম ইয়েচুরি, তাঁকে দেখা গেছে শপথগ্রহণে অংশগ্রহণ করতে এবং বেঙ্গালুরুর ক্রান্তিরামা স্টেডিয়ামের শপথ-মঞ্চে কংগ্রেসের হাতে হাত ধরে বিজেপি-র বিরুদ্ধে ঐক্যের ছবি তুলে ধরতে। আবার বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও নিমন্ত্রিত ছিলেন সেখানে। যদিও তিনি যাননি, দূত হিসেবে কাকলি ঘোষদস্তিদারকে পাঠিয়েছিলেন।

তাঁদের মত, এখন তাৎপর্যপূর্ণ হল, যত অ-বিজেপি দল আছে, তাদের সকলের সঙ্গে সমান যোগাযোগ রাখছে না কংগ্রেস। এমন পরিস্থিতিতে কেজরীওয়ালের কলকাতায় আসা, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করা তথা তৃণমূলের গুরুত্ব দেওয়া– এসব দেখে মনে হচ্ছে, কংগ্রেসকে হয়তো এসব আঞ্চলিক দল বার্তা দিতে চাইছে, কর্নাটক জিতে কংগ্রেস আলাদা গুরুত্ব পাচ্ছে না। ২০২৪ সালে বিজেপিকে যদি মসনদ থেকে সরাতে হয়, তাহলে সব রাজ্যের আঞ্চলিক দলগুলিকেই সমান গুরুত্ব দিতে হবে।

মনে করা হচ্ছে, এই জায়গা থেকেই কেজরীওয়াল এই সময়ে কলকাতায় আসছেন এবং মমতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন।

সূত্র: ভয়েজ অব আমেরিকা