Thursday, January 16, 2025

সপ্তাহে শীর্ষে

প্রাসঙ্গিক বার্তা

ভারতের সংবাদমাধ্যমে বাংলাদেশবিরোধী প্রচারণায় ৫৩ নাগরিকের উদ্বেগ

বিডিনিউজ: ভারতের সংবাদমাধ্যমে বাংলাদেশবিরোধী প্রচারণা চলতে থাকায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন ৫৩ নাগরিক।

এ অপপ্রচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে তারা বলছেন, “জাতি-গোষ্ঠি, ধর্ম ও সামাজিক-রাজনৈতিক বৈচিত্র্যে বাংলাদেশের শক্তি এবং আমরা সবাই মিলে গণতান্ত্রিক অভিযাত্রাকে রক্ষা করব।”

বৃহস্পতিবার লেখক সালাহ উদ্দিন শুভ্র ৫৩ নাগরিকের পক্ষে বিবৃতিটি সংবাদমাধ্যমে পাঠিয়েছেন।

এতে বলা হয়, “মুজিববাদী আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে এবং ভারতের সহযোগিতায় দেশে যে স্বৈরশাসন ও লুটপাট চলে, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে তার কবল থেকে নিজেদের মুক্ত করেছে বাংলাদেশের মানুষ।”

ভারত সরকার শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়ে তাদের ‘গদি মিডিয়ায়’ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে অভিযোগ করে বিবৃতিতে বলা হয়, “বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর কল্পিত ক্র্যাকডাউনের গল্প প্রতিনিয়ত আবিষ্কার করে চলেছে ‘গদি মিডিয়া’। সম্প্রতি নানা সময়ে দেখা গেছে এইসব কথিত খবর হয় মিথ্যা, নয়তো বিভ্রান্তিমূলক।

“প্রায় দুই দশক ধরে চলা স্বৈরশাসনকে পরাজিত করার পর এখন জাতি হিসেবে আমরা চেষ্টা করছি গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে এবং জাতীয় পুনর্গঠনের পথে যাত্রা শুরু করতে। এই সময় আমাদের অবশ্যই ঐক্য ধরে রাখতে হবে এবং আমাদের দেশের লোকেদের বিরুদ্ধে ভারতের ‘গদি মিডিয়া’র অপপ্রচার রুখে দিতে হবে।”

‘গদি মিডিয়া’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে? জানতে চাইলে সালাহ উদ্দিন শুভ্র বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ভারতের উগ্রডানপন্থি শাসক দল বিজেপির স্বার্থরক্ষাকারী মিডিয়া হলো ‘গদি মিডিয়া’, এটি প্রচলিত।”

বিবৃতিতে দাবি করা হয়, “আন্তর্জাতিকভাবে মিথ্যা তথ্য ও অপতথ্যের উৎপাদনে শীর্ষ একটি দেশ হচ্ছে ভারত এবং তাদের দানবীয় প্রপাগান্ডা-যন্ত্র এখন বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের অধিকার নিয়ে মিথ্যা খবর ছড়িয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ‘গদি মিডিয়ার’ এই আক্রমণের কারণে জাতি হিসেবে আমরা এখন ভারতের আধিপত্যের বাইরে এসে আমাদের স্বাধীন পথে যাত্রা শুরু করেছি আবার।”

বিবৃতিদাতাদের মধ্যে রয়েছেন- আলোকচিত্রী শহিদুল আলম, অধ্যাপক মোস্তফা নাজমুল মানসুর, গীতিকার লতিফুল ইসলাম শিবলী, লেখক ও অধ্যাপক সুমন রহমান, অর্থনীতিবিদ ও লেখক জিয়া হাসান, কবি কাজল শাহনেওয়াজ, লেখক আহমাদ মোস্তফা কামাল, শিক্ষক ও অনুবাদক জি এইচ হাবিব, লেখক ও সাংবাদিক শাহনাজ মুন্নি, সংস্কৃতিকর্মী বীথি ঘোষ, কবি ও লেখক মৃদুল মাহবুব, লেখক ও অনুবাদক জিয়া হাশান, অধ্যাপক হাবিব জাকারিয়া, প্রকাশক মাহাবুব রাহমান, অধ্যাপক আ আল মামুন, অধ্যাপক আর রাজি, কবি মিছিল খন্দকার, আলতাফ শাহনেওয়াজ।

এছাড়াও বিবৃতিতে সই করেছেন পাভেল পার্থ, বখতিয়ার আহমেদ, হাসান আশরাফ, সায়েমা খাতুন, স্বাধীন সেন, সাইমুম পারভেজ, মাহবুব সুমন, ওমর তারেক চৌধুরী, দেবাশীষ চক্রবর্তী, সুস্মিতা চক্রবর্তী, মোশরেকা অদিতি হক, তুহিন খান, ইসমাইল হোসেন, নাহিদ হাসান, গাজী তানজিয়া, কাজী জেসিন, ফেরদৌস আরা রুমী, শাহতাব সিদ্দিক অনিক, ইমরুল হাসান, সালাহ উদ্দিন শুভ্র, মারুফ মল্লিক, মিশায়েল আজিজ, সৈয়দ মুনতাসির রিদওয়ান, পারভেজ আলম, আরিফ রহমান, মোহাম্মদ রোমেল, কামরুল আহসান, শরত চৌধুরী, বায়েজিদ বোস্তামি, পার্থিব রাশেদ, কাজী জেসিন, দীপক কুমার গোস্বামী, আবুল কালাম আল আজাদ, আলমগীর স্বপন, সারোয়ার তুষার, এহসান মাহমুদ।

বার্তা সূত্র

পাঠক প্রিয়