জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, ভারতের বোঝা উচিত, তাদের আগ্রাসন যত জোরদার হবে, বাংলাদেশে ঐক্য তত মজবুত হবে।
রবিবার (৮ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে গণশক্তি সভা আয়োজিত ‘বাংলাদেশ বিরোধী প্রচারণা বা সাম্প্রদায়িক উসকানি’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, ৫ আগস্টের পর থেকে সবগুলো দলের প্রধান উপদেষ্টাকে বলেছেন— আমরা দেশের জন্য জীবন দিতে পারি। বাংলাদেশের ওপর যে আগ্রাসন চলছে, তা আমরা মেনে নিতে পারি না। আমরা সবাই শহীদ হতে রাজি আছি। কিন্তু প্রতিবেশী দেশের এই আগ্রাসন মেনে নিতে পারি না।
তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী অথবা ছাত্র শিবিরকে জঙ্গি বলা হয়। তারা নাকি হাত কাটে, রগ কাটে। আমাদের দুজন মন্ত্রী ছিলেন, যাদের ব্যাপারে এক টাকার দুর্নীতির অভিযোগ আসেনি। ইসলাম যদি খারাপ হয়, জঙ্গি হয়, মানুষ মারে— তাহলে তারা তো আকাম-কুকাম করার কথা। কিন্তু তাদের কোনও দুর্নীতি পাওয়া যায়নি। এটা সারা দুনিয়ায় প্রশংসিত হয়েছে। শিবিরের সদস্যরা তো বিড়ি খায় না, মদ খায় না, কোনও মানুষের টাকা ছিনতাই করে না। চরিত্র খারাপ নয়, সবসময় নামাজ পড়ে। মানুষকে ভালো কথা বলে।
তিনি বলেন, যারা আয়নাঘর, গায়েবি মামলাসহ বিভিন্নভাবে মানুষের ওপর অত্যাচার জুলুম নির্যাতন করেছে— তারা এখন দেশ থেকে পালিয়ে গেছে। জুলুম করে জালেম পালিয়েছে। তারা চায় ৫ আগস্টের অভ্যুত্থান যাতে ব্যর্থ হয়। অন্তর্বর্তী সরকার যাতে কোনও ধরনের কাজ করতে না পারে এবং দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য তারা সব ধরনের ষড়যন্ত্র করছে। বাংলাদেশের মানুষ তাদের অধিকার আদায়ের জন্য চিরদিন ঐক্যবদ্ধ ছিল। আগামীদিনেও ঐক্যবদ্ধ হয়ে তারা এ দেশকে রক্ষা করবে।
জামায়াতের এই নায়েবে আমীর বলেন, পতিত স্বৈরাচার একবার পতন হওয়ার পরে আবারও এসে জেকে বসেছে এরকম ইতিহাস নেই। যে পালিয়েছে সে আর ফিরে আসতে পারবে না।
বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব এড. গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক বলেন, বাংলাদেশকে নিয়ে একটা চক্রান্ত চলছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অস্থিতিশীল করতেই এই চক্রান্ত করা হচ্ছে। স্বৈরাচারের পতনকে ভারত ভালোভাবে নেয়নি।
তিনি বলেন, ভারতের সেভেন সিস্টার দখলের কথা বাংলাদেশের জনগণের মাথায়ও নেই, তাদের এগুলো ভাবার সময়ও নেই। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার তাদের মাথায় ঢুকিয়ে দিয়েছিল— আওয়ামী লীগ সরকার না থাকলে সেভেন সিস্টারে ঝামেলা হবে। সেটাই ভারতের নেতাদের মাথাব্যথার কারণ।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব ভূইয়ার সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. শহীদুল ইসলাম প্রমুখ।