কিন্তু পশ্চিমাদের ব্যাপক নিষেধাজ্ঞার মুখে থাকা ইরানের সদস্যা হতে চলার বিষয়ে জানতে চাইলে হুমায়ুন কবির বলেন, “ইরানের গুরুত্বপূর্ণ সমর্থনকারী রয়েছে। প্রথমত ইরানের তেল সম্পদ, দ্বিতীয়ত একটি আঞ্চলিক শক্তি। মধ্যপ্রাচ্যে ইরান ও সৌদি আরব দুটি প্রধান প্লেয়ার। সুতরাং রাশিয়া ও চীন উভয়ই চীনকে চেয়েছে।
“তারা চেয়েছে, আপনি যদি মধ্যপ্রাচ্য থেকে কিছু দেশকে চান তাহলে ইরান পাদপ্রদীপে চলে আসে, সংযুক্ত আরব আমিরাত আসে এবং মিশর এসেছে আফ্রিকা থেকে। নিষেধাজ্ঞা অধীনে থাকা সত্ত্বেও ইরান নিজের যোগ্যতায়, তাদের বিষয়ে অনেক প্রশ্ন থাকা সত্ত্বেও তাদের ক্ষমতাবান সমর্থক রয়েছে, যারা তাকে এর মধ্যে চেয়েছে।”
ইরানের প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “আমার অনুমান হচ্ছে, ব্রিকসের কিছু পেশিশক্তি দরকার। ইরান হয়ত পশ্চিমের বিরুদ্ধে কিছুটা পেশিশক্তি নিয়ে হাজির হয়েছে, যেটাকে ব্যবহার করা যাবে। দ্বিতীয়ত ইরান তেলসমৃদ্ধ দেশ।
“যদি আপনি দেখেন, কারা ব্রিকসকে পরিচালিত করছে, তাহলে চীন তার অন্যতম। এ কারণে চীন এমন দেশকে ব্রিকসে চাইবে, যেটা তেলসমৃদ্ধ। একই জিনিস ভারতের জন্য। যদিও ইরানের বিষয়ে ভারতের কিছু অনিচ্ছা রয়েছে, তবুও ইরান থেকে উপকারের বিষয়ে দেশটি দেখেছে। কেননা, সেখান থেকে তেলের সরবরাহ পাওয়া যাবে।”
যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া ও নেপালে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করে আসা হুমায়ুন কবির পাঁচ সদস্যদের ব্রিকসে বড় তিন দেশের প্রভাবের দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, “ব্রিকসে ভারত, চীন ও রাশিয়া যদি এক পক্ষে থাকে, তাহলে খেলা আপনার পক্ষেই থাকবে।”
আরেক প্রশ্নে তিনি বলেন, চীন ও রাশিয়ার স্বার্থের মধ্যে পশ্চিমা আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার বিপরীতে পেশিশক্তি আর বিশ্বাসযোগ্যতা নিরিখে একটি বিকল্প শক্তি বা কোনো একটি বিকল্প ব্যবস্থা গড়ে তোলার বিষয় রয়েছে।্
ব্রিকস সম্মেলন থেকে বাংলাদেশের অর্জনের বিষয়ে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, “কয়েকটি কারণে এই শীর্ষ সম্মেলন অনেক বেশি মনোযোগ আকর্ষণ করতে পেরেছে। বিশেষ করে ইউক্রেইন যুদ্ধের পরে চীন, রাশিয়া আর ভারত কিংবা গ্লোবাল সাউথ কী বলছে, সেটার গুরুত্ব আছে।
“আমার মনে হয়, এই সময়ে বিশ্ব মিডিয়া এটাতে খুব আগ্রহী ছিল, খুব ভালোমতো কভার করেছে। এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনের বড় শক্তিগুলো এতে আগ্রহী ছিল। এবং আমরা বাংলাদেশের অবস্থান দেখেছি। বড় টেবিলে একটা জায়গা করে নেওয়াও আমার মতে, একটা সান্ত্বনার জায়গা।”