বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী যারা সরকার থেকে বেতন পান (এমপিওভুক্ত), তাদের ভাতা বাড়ানোর কথা জানালেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। শিক্ষা উপদেষ্টার দায়িত্ব ছাড়ার দিনে তিনি জানিয়েছেন, বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের উৎসব ভাতা, বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ভাতা এবং বিনোদন ভাতা বাড়ানো হচ্ছে। ঈদুল আজহা থেকে এই সুবিধা কার্যকর হবে।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রণালয় ও সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ ও নতুন শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরারকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।
ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, “আমি সবাইকে আশ্বাস দিয়েছিলাম যে, সাধ্যমতো এ বছর এবং আগামী অর্খবছরের বাজেটে যতটুকু অর্থ সংকুলন করা যায়, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বসে আমরা যতদূর পারি চেষ্টা করব দাবিগুলো মেটাতে।”
তিনি বলেন, “কিন্তু, ১৫–২০ বছরের বঞ্চনা ১–২ বছরের বাজেট দিয়ে তো মেটানো যায় না। এটা বোঝানো খুব কঠিন। আজকেই বেসরকারি বেতন সরকারি বেতনের সমান করে দিতে হবে, এটা ন্যায্য দাবি বুঝলাম। কিন্তু এক বছরের বাজেট দিয়ে কীভাবে ১৫ বছরের বৈষম্য ঠিক করা যায়? কিন্তু শুরুটা করা দরকার। সেই শুরুটা আমরা করে দিয়ে যাচ্ছি।”
ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, “তাদের (এমপিওভুক্ত শিক্ষক) উৎসব ভাতা, বিনোদন ভাতা, বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা ভাতা এ বছরের ঈদুল আজহা থেকে শুরু করে আগামী বছরের বাজেট থেকে অন্তত কিছু বাড়াতে পারব, এখনি আমি ঘোষণা দিচ্ছি না কত বাড়াব। আমি জানি সেটুকু বাজেটের মধ্যে এ বছর এবং আগামী বছরের বাজেটের মধ্যে প্রভিশন রাখা হচ্ছে।”
শিক্ষকদের অবসর এবং কল্যাণ ভাতার জন্য একটা তহবিল তৈরি করা হচ্ছে জানিয়ে উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, “এ বছরই কিছুটা তৈরি করা হয়েছে। আগামী বাজেটে আরও রাখা হবে। তবে পুরো ফান্ডটাকে টেকসই করতে হলে ১–২ বাজেটে হবে না, ভবিষ্যতে ৩–৪ বাজেটে আশা করি এটার সমাধান হয়ে যাবে।”
“অবসর ও কল্যাণ ফান্ডে টাকা এমন একটা ব্যাংকে ইচ্ছা করে রাখা হয়েছিল যে, ব্যাংকটার আর টাকা পয়সা নাই। কিছু ফান্ড এমনিতেই চলে গেছে অন্য জায়গায়,” যোগ করেন তিনি।
ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, “বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের কল্যাণ ভাতা এবং অবসর ভাতা-এটা হলো তাদের সবচেয়ে ন্যায্য দাবি। কিন্তু তারা তো সংঘবদ্ধ না। তারা রাস্তাতেও কোনোদিন নামেনি। কিন্তু আমি তো মনে করেছিলাম তাদের ওই দাবিটাই সবচেয়ে আগে মেটানো উচিত।”
