নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিকের টেট (TET) পরীক্ষায় কমছে পরীক্ষার্থীদের সংখ্যা। প্রাথমিকে শিক্ষাদানের যোগ্যতা অর্জনের পরীক্ষা হল এই টেট পরীক্ষা। চলতি TET পরীক্ষায় আবেদনের সংখ্যা ৫০% কমতে চলেছে। এক বছরের মাথায় দ্বিতীয়বার ১০ই ডিসেম্বর প্রাথমিকের টেট আয়োজন করতে চলেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সেই আবেদনের টাকা জমা দেওয়ার শেষ হল বৃহস্পতিবার।
এর আগে ২০২২ সালের ১১ ডিসেম্বর দীর্ঘ পাঁচ বছর বাদে প্রাথমিকের টেট হয়েছিল সেখানে আবেদনকারীর সংখ্যা ছিল প্রায় ছ’লক্ষ ৯০ হাজার। রীক্ষায় বসেছিলেন প্রায় ছ’লক্ষ ২০ হাজার পরীক্ষার্থী।
চলতি প্রাথমিক TET নেওয়ার জন্য ২০২৩ সালের ১৪ ই সেপ্টেম্বর অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন প্রক্রিয়া গ্রহণ করা শুরু করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ৪ অক্টোবর আবেদন প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। বৃহস্পতিবার যাঁরা আবেদন করেও টাকা জমা দেননি তাঁদের জন্য একদিন বাড়তি ধার্য করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফ থেকে চলতি সপ্তাহে তাদের ওয়েবসাইটে পরীক্ষা সংক্রান্ত মডেল উত্তরপত্র ও কোন বিভাগে কত নম্বর ধার্য করা হয়েছে তার সমস্ত বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হবে। গত বছরের মতো এ বছরও পরীক্ষার নিরাপত্তায় কোন ত্রুটি রাখতে চাইছে না প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সূত্রে খবর মিলেছে, গত বছরের তুলনায় এ বছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় অর্ধেক হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু কেন এই বিপুল সংখ্যক পরক্ষার্থী কমে গেল? এই বিষয়ে পর্ষদের তরফ থেকে ব্যাখ্যা, ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে যে পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়েছিল সেখানে ডিএলএড ও বিএড-এর সকল যোগ্য প্রার্থী আবেদন করতে পেরেছিলেন। তবে এ বছর শীর্ষ আদালতের নির্দেশে ডিএলএড উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীরাই শুধু আবেদন করতে পারবেন। ২০২২ সালে ডিএলএড ও বিএড পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন প্রায় এক লাখ পঞ্চাশ হাজার পরীক্ষার্থী। তার মধ্যে থেকে প্রায় ৯৭ হাজার পরীক্ষার্থী এ বছর প্রাথমিকের টেট পরীক্ষায় আবেদন করতে পারবে না। তাই আবেদনের সংখ্যা অনেকটাই কমেছে।