বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য সুইজারল্যান্ডের উদ্যোক্তাদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (২৩ অক্টোবর) বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেটো সিগফ্রিড রেংগলি, সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে আসলে, এ আহবান জানান শেখ হাসিনা। সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ বিষয়ে অবহিত করেন।
ইহসানুল করিম জানান যে শেখ হাসিনা বলেছেন, “সুইজারল্যান্ডের ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে (এসইজেড) বিনিয়োগ করতে পারে।” তিনি আরো বলেন, “আমরা জমি (এসইজেড-এ) সরবরাহ করবো, আর তারা এখানে একটি মিনি সুইজারল্যান্ড তৈরি করতে পারে।”
ইহসানুল করিম জানান, জবাবে রাষ্ট্রদূত বলেছেন, “ সুইজারল্যান্ডের কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী। আর, বাংলাদেশ ও সুইজারল্যান্ডের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ বাড়াতে হবে।” দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও সহযোগিতা আরো জোরদার করতে কাজ করে যাবেন বলে উল্লেখ করেন রেটো সিগফ্রিড রেংগলি।
রাষ্ট্রদূত বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করবে সুইজারল্যান্ড।”
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত-কে বলেন, তার সরকারের লক্ষ্য হলো বাংলাদেশের গ্রামীণ জনগণের উন্নয়ন করা। শেখ হাসিনা বলেন, “উন্নয়নের মেরুদণ্ড হচ্ছে মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষ। তবে, চরম দারিদ্র্যের হার অন্তত এক শতাংশে নামিয়ে আনতে আমরা বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করছি।”
কানেক্টিভিটি প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, “বাংলাদেশ প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের মধ্যে সেতুবন্ধন হতে পারে। সুতরাং, সরকার এখন এই লক্ষ্যে বিমানবন্দরগুলোর উন্নয়ন করছে।” তিনি বলেন, “আমরা বাংলাদেশ-সুইজারল্যান্ড দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে একটি বিস্তৃত অংশীদারিত্বে রূপান্তরের অপেক্ষায় রয়েছি।”
রাষ্ট্রদূতকে ঢাকায় তার দায়িত্ব পালনে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত, বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে সুইজারল্যান্ডের স্বীকৃতির জবাবে সুইজারল্যান্ড সরকারের কাছে বঙ্গবন্ধুর পাঠানো একটি চিঠির অনুলিপি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে হস্তান্তর করেন।চিঠিটি গ্রহণ করে শেখ হাসিনা বলেন, “চিঠিটি জাদুঘরে প্রদর্শিত হবে।”